Anil Ambani: এবার ইডি দফতরে হাজিরা দিতে হল আম্বানিকে!
Anil Ambani: ধীরুভাই আম্বানি মারা যাওয়ার পর দুই ভাইয়ের মধ্যে ব্যবসা নিয়ে বিবাদ চরমে ওঠে। পরিস্থিতি এমনটাই দাঁড়িয়েছিল যে অনিল-মুকেশের মা কোকিলা বেন দুই ভাইয়ের মধ্যে ব্যবসা ভাগ করে দেন। তেল শোধন ও পেট্রোকেমিক্যালসের ব্যবসা তুলে দেন মুকেশের হাতে। অন্যদিকে, টেলিকম, ফিনান্স ও বিদ্যুত্ পান অনিল
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ব্যবসায় ধাক্কা থেকে কোণঠাসা শিল্পপতি অনিল আম্বানি। কিন্তু পিছু ছাড়েনি বিতর্ক। ফরেন এক্সচেঞ্জ অ্যাক্টে তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া একটি মামলায় তাঁকে তলব করেছিল ইডি। এবার সেই সমনে হাজিরা দিতে মুম্বইয়ে ইডির দফতরে পৌঁছলেন অনিল আম্বানি। সোমবার সকাল দশটা নাগাদ তিনি ইডির দফতরে পৌঁছন।
আরও পড়ুন-ব্যাংকে ফিরছে ২০০০ টাকার কাঁড়ি কাঁড়ি নোট! কী ঘটল নতুন করে?
ইডি সূত্রে খবর, ফেমা লঙ্ঘন করায় অনিল আম্বানির বিরুদ্ধে তদন্ত করছে ইডি। তবে কী প্রশ্ন করা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। ইয়েস ব্যাঙ্কের একটি মামলায় ২০২০ সালে তাঁকে একদফা জেরা করে ইডি। সেই মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন ইয়েস ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা রানা কাপুর।
অনিল আম্বানির বিরুদ্ধে কর ফাঁকি দেওয়ারও অভিযোগ হয়েছে। ৪২০ কোটি টাকা কর ফাঁকি দেওয়ার সেই মামলায় গতবছর সেপ্টেম্বর মাসে তাঁর বিরুদ্ধে আয়কর বিভাগকে কোনও কড়া ব্যবস্থা না নেওয়ার নির্দেশ দেয় বম্বে হাইকোর্ট। অনিল আম্বানির বিরুদ্ধে অভিযোগ সুইস ব্যাঙ্কে তাঁর দুটি অ্য়াকাউন্টে রয়েছে ৮১৪ কোটি টাকা। সেক্ষেত্রে তিনি কর ফাঁকি দিয়েছেন ৪২০ কোটি টাকা। ওই মামলায় গতবছরপ অগাস্টের শুরুতেই অনিল আম্বানিকে নোটিস ধরায় আয়কর বিভাগ।
উল্লেখ্য, দুই ভাইয়ের মধ্যে পারিবারিক ব্যবসা ভাগ হয়ে যাওয়ার পর মনে করা হয়েছিল দাদা মুকেশের থেকে অনেকটাই এগিয়ে অনিল আম্বানি। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই প্রবল লোকসানে পড়ে যায় অনিল আম্বানি। বিপুল ঋণে জড়িয়ে পড়ে অনিলের সংস্থাগুলি।
ধীরুভাই আম্বানি মারা যাওয়ার পর দুই ভাইয়ের মধ্যে ব্যবসা নিয়ে বিবাদ চরমে ওঠে। পরিস্থিতি এমনটাই দাঁড়িয়েছিল যে অনিল-মুকেশের মা কোকিলা বেন দুই ভাইয়ের মধ্যে ব্যবসা ভাগ করে দেন। তেল শোধন ও পেট্রোকেমিক্যালসের ব্যবসা তুলে দেন মুকেশের হাতে। অন্যদিকে, টেলিকম, ফিনান্স ও বিদ্যুত্ পান অনিল। ওইসব ব্যবসার কোনওটাই চালাতে পারেননি অনিল আম্বানি। বরং মুকেশ আম্বানি বাজারে আনেন জিও। সেই ব্যবস্যা এখন ফুলে ফেঁপে উঠেছে। অন্যদিকে, বাস্তব না বুঝেই প্রতিযাগিতায় ঝাঁপিয়ে পড়েন অনিল। এমনটাই মনে করে বিশেষজ্ঞ মহল। এর মধ্যেই ২০০৮ সালের মন্দা বড় ধাক্কা দেয় তাঁকে। ওই মন্দায় তাঁর ক্ষতি হয় ৩১ বিলিয়ন ডলার।