সমৃদ্ধির সঙ্গে শান্তি চাইলে ভারতে আসুন, দাভোসের মঞ্চ থেকে আহ্বান মোদীর
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের মঞ্চ থেকে বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের ভারতে আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
নিজস্ব প্রতিবেদন: ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের মঞ্চ থেকে বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের ভারতে বিনিয়োগের আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমৃদ্ধির সঙ্গে শান্তি চাইলে ভারতে আসতেই হবে।
কেন বিনিয়োগের জন্য ভারত এক উল্লেখযোগ্য গন্তব্য? প্রধানমন্ত্রী বলেন, বহুদিন পরে ভারতে এতদিনে একটি সংখ্যাগরিষ্ট সরকার তৈরি হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নিতে এখন আর দেরি হয় না। রেড টেপের বাঁধনের বদলে এখন রেড কার্পেট বিছিয়ে বিনিয়োগকারীদের স্বাগত জানানো হচ্ছে।
In 2014 after 30 years, Indian voters provided complete majority to any political party to form govt at the centre. We took the resolution for the development of everyone and not just a specific group. Our motto is 'Sabka Saath Sabka Vikas'.: PM Modi #WorldEconomicForum pic.twitter.com/pWnYRZnluL
— ANI (@ANI) January 23, 2018
নতুন সরকারের নীতি হল রিফর্ম, পারফর্ম ও ট্রান্সফর্ম। সত্তর বছর পর দেশের কর ব্যবস্থায় আমূল বদল হয়েছে। মাত্র তিন বছরের মধ্যেই তা করা সম্ভব হয়েছে। সাধারণ মানুষ আমাদের নীতিকে সমর্থন করছেন। স্বেচ্ছায় সাবসিডি ত্যাগ করছেন। এরকম এক অবস্থায় ভারতে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সন্ত্রাসবাদ, জলবায়ু পরিবর্তন সহ বিশ্বের সামনে একাধিক চ্যালেঞ্জের কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী যা বললেন-
গোটা বিশ্বে টেকনোলজির উন্নতি হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া টেকনোলজিকে ভেঙেচুরে ফেলা হচ্ছে। সেইসঙ্গে এর থেকে বিপদও বাড়ছে। পরবর্তি প্রজন্মের জন্য আমরা ওই বিপদ থেকে কীভাবে বাঁচব তা খুঁজে বের করতে হবে। এর জন্য এক হয়ে কাজ করতে হবে।
গোটা বিশ্বের সামনেই এখন বড় সমস্যা জলবায়ু পরিবর্তন। হিমবাহ গলছে। দ্বীপ ডুবে যাচ্ছে। মরুভূমিতে বরফ পড়ছে। এর পেছনে আমাদের ভূমিকা রয়েছে। আমরা যদি প্রকৃতির সন্তান হই তাহলে মানব ও প্রকৃতির মধ্যে এই সংঘাত কেন। উপনিষদের বাণী আমাদের মনে রাখা উচিত-ভোগ করে ত্যাগ কর। অন্যের সম্পত্তিতে লোভ করো না।
আরও পড়ুন-বিজেপির হাত ছাড়ল শিবসেনা, ২০১৯-এ একাই ভোটে লড়বে বালাসাহেবের দল
সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। এক্ষেত্রে দুটো বিষয় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত গুড টেররিস্ট আর ব্যাড টেররিস্ট বলে কিছু হয় না। এভাবে তফাত করা উচিত নয়। দ্বিতীয়ত, শিক্ষিত যুবকরা জঙ্গি হয়ে যাচ্ছে। এ এক মারাত্মক প্রবণতা। এসব একজোট হয়ে রুখতে হবে।
গোটা বিশ্বে আত্মকেন্দ্রীকতা বাড়ছে। একটা মহল বিশ্বায়নের বিরোধী। আমারাও বিশ্বায়নের বিরোধী নই। তবে গান্ধীজির মতো আমরাও বলছি, গোটা বিশ্বের জন্য আমরা আমাদের ঘরের দরজা, জানালা খুলে দিতে চাই তবে লক্ষ্য রাখব বিশ্বায়নের হাওয়া আমাদের ঘর যেন ভেঙে না দেয়।