বিজেপিকে ঠেকাতে আর জোট নয়, তৈরি হচ্ছে নতুন দলে। দলে একসঙ্গে লালু, নীতীশ, দেবগৌড়ারা!
দেশ জুড়ে বিজেপি-র উত্থান ঠেকাতে এবার নতুন দল গড়ার উদ্যোগ। মুলায়ম সিংহ যাদবের ডাকে একই মঞ্চে লালুপ্রসাদ, নীতীশ কুমার, দেবগৌড়া। শুধু জোট গড়া নয়, একসঙ্গে নতুন দল গঠনের কথা ভাবছেন এঁরা। বৃহস্পতিবার ছটি দল নিয়ে এই প্রক্রিয়ার সূচনা হল দিল্লিতে। অতীতের জনতা দলের বিভিন্ন শাখা প্রশাখা ইতিহাসের পাকেচক্রে আবার কি একসঙ্গে মিলে যাচ্ছে?
ওয়েব ডেস্ক: দেশ জুড়ে বিজেপি-র উত্থান ঠেকাতে এবার নতুন দল গড়ার উদ্যোগ। মুলায়ম সিংহ যাদবের ডাকে একই মঞ্চে লালুপ্রসাদ, নীতীশ কুমার, দেবগৌড়া। শুধু জোট গড়া নয়, একসঙ্গে নতুন দল গঠনের কথা ভাবছেন এঁরা। বৃহস্পতিবার ছটি দল নিয়ে এই প্রক্রিয়ার সূচনা হল দিল্লিতে। অতীতের জনতা দলের বিভিন্ন শাখা প্রশাখা ইতিহাসের পাকেচক্রে আবার কি একসঙ্গে মিলে যাচ্ছে?
দুর্বার গতিতে এগোচ্ছে বিজেপির জয়রথ। ক্রমেই জমি হারাচ্ছে কংগ্রেস। এই অবস্থায় সমাজবাদী ভাবনার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল একসঙ্গে মিলে যাওয়ার ভাবনা শুরু করেছে। সমাজবাদী পার্টির প্রধান মুলায়ম সিং যাদবের ডাকে বৃহস্পতিবার মধ্যাহ্নভোজে আসেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়া, লালুপ্রসাদ যাদব, নীতীশ কুমারের মতো নেতারা। কালো টাকা, বেকারির মতো বেশ কয়েকটি ইস্যুতে সংসদের ভিতর-বাইরে একজোট হয়ে লড়ার কর্মসূচি চূড়ান্ত হয় এদিন। সবচেয়ে তাত্পর্যপূর্ণ ঘটনা, সবাই মিলে নয়া দল গড়া নিয়েও ইতিবাচক আলোচনা হয় এদিন।
জরুরি অবস্থার সময়ে ইন্দিরা গান্ধীর বিরোধিতায় জন্ম হয়েছিল জনতা পার্টির। রাজীব গান্ধীর জমানার অবসান ঘটাতে আবার কংগ্রেস বিরোধী বিভিন্ন সমাজবাদী ভাবনার দল একজোট হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে দেবগৌড়ার সরকার গঠনের সময়ে একজোট হলেও আলাদা অস্তিত্ব বজায় রেখেছিলেন এই সব আঞ্চলিক মহারথীরা। পরের দু দশকে ক্রমশ লালুপ্রসাদ, মুলায়ম, নীতীশকুমারের পথ আলাদা হয়ে যায়। বিজেপির উত্থানে শক্তি হারিয়ে এখন এঁরাই আবার এক দল গড়ার পথে এগোচ্ছেন।