Cow Smuggling: ঘোর সমস্যায় অনুব্রত! দিনভর বারবার আনা হল জেল ডিস্পেন্সারিতে
Cow Smuggling: প্রথম যেদিন তিহাড়ে আসেন সেদিন তাঁর সঙ্গে থাকা ৪টি ব্যাগ আনতে দেওয়া হয়নি। সেখানে ছিল তাঁর পরিচিত ওষুধ ও ইক্সিজেন মাস্ক, ইনহেলার। শুধুমাত্র তাঁর প্রসেক্রিপশন ও জেলের কাগজ হাতে দিয়ে দেওয়া হয়। প্রথম রাতে জেলা তার ভালো ঘুম হয়নি। রুটি খেতে দেওয়া হলেও তিনি তা থেকে পারেননি
![Cow Smuggling: ঘোর সমস্যায় অনুব্রত! দিনভর বারবার আনা হল জেল ডিস্পেন্সারিতে Cow Smuggling: ঘোর সমস্যায় অনুব্রত! দিনভর বারবার আনা হল জেল ডিস্পেন্সারিতে](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2023/03/27/413135-8.png)
জ্যোতির্ময় কর্মকার: ইডি হেফাজত থেকে তিহাড় জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। তাঁকে রাখা হয়েছিল তিহাড়ের ৭ নম্বর সেলে। কিন্তু শনিবার তিনি রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে আবেদন করেন তাঁকে আসানসোল জেলে পাঠানো হোক। কারণ তিহাড়ে তাঁর সমস্যা হচ্ছে। সোমবার তাঁকে বেশিক্ষণ সেলে রাখা যায়নি। বরং তাঁকে বারবার আনতে হচ্ছিল জেল ডিস্পেনসারিতে।
আরও পড়ুন-মূল বেতনের ৫০ শতাংশই পেনশন! কেন্দ্র-রাজ্য টানাপোড়েন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা নির্মলার
জেল যাওয়ার পরই ওষুধ নিয়ে ঘোর সমস্যায় পড়ে যান অনুব্রত মণ্ডল। কারণ তাঁর প্রেসক্রিপশনে যেসব ওষুধ ছিল তা পরিবর্তে তাঁকে দেওয়া হয় একই কম্পোজিশনের অন্য ব্র্যান্ডের ওষুধ। ফলে ওষুধ চিনতে অসুবিধে হচ্ছিল তাঁর। পাশাপাশি তাঁর শ্বাসকষ্ট ও অক্সিজেন ঘাটতির সমস্য়া ছিলই। সেই সমস্যা চাগাড় দিয়ে উঠল সোমবার। তিহাড় জেল সূত্রে খবর, সোমবার তাঁকে বারবার জেলের ভিতরের ডিস্পেনসারিতে আনতে হয়। অক্সিজেনের সমস্যা হওয়ায় তাঁকে বারবার অক্সিজেন দিতে হয়। সুগার সমস্য়া থাকায় দেওয়া হয় ইনসুলিনও।
উল্লেখ্য, প্রথম যেদিন তিহাড়ে আসেন সেদিন তাঁর সঙ্গে থাকা ৪টি ব্যাগ আনতে দেওয়া হয়নি। সেখানে ছিল তাঁর পরিচিত ওষুধ ও ইক্সিজেন মাস্ক, ইনহেলার। শুধুমাত্র তাঁর প্রসেক্রিপশন ও জেলের কাগজ হাতে দিয়ে দেওয়া হয়। প্রথম রাতে জেলা তার ভালো ঘুম হয়নি। রুটি খেতে দেওয়া হলেও তিনি তা থেকে পারেননি। অনুব্রতর আইনজীবী বারবার তাঁর শারীরিক সমস্যার কথা তুলে ধরেছিলেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত তিহাড়েই স্থান হয় তাঁর।
এদিকে, শনিবার রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে অনুব্রতর আইনজীবী সওয়াল করেন, অনুব্রতকে আসানসোল জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হোক। কিন্তু এর পেছনে যুক্তি কী? অনুব্রত আইনজীবী যেটা বলছেন সেটা হল, আইনে বলা হয়েছে, যে জায়গা থেকে কোনও অভিযুক্তকে হেফাজতে নেবে এবং তাঁকে যদি অন্য রাজ্যে রিমান্ডে নিয়ে যাওয়া হয় তাহলে সেই রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাকে তার আগের জায়গায় ফিরিয়ে দিতে হবে।
আসানসোল জেল থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে ইডি। কোর্টের নির্দেশ নিয়ে তারা অনুব্রতকে দিল্লিতে নিয়ে আসে। টানা ১৪ দিন তাঁকে ইডি হেফাজতে রাখা হয়। তারপর সেই মেয়াদ শেষের পর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় তিহাড় জেলে। প্রথম থেকেই অনুব্রতর আইজীবীরা রাউজ অ্য়াভিনিউ আদালতের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন। এবার তারা অনুব্রতকে আসানসোলে ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন করলেন। আগেই তাঁর জামিনের আবেদন ফাইল করা হয়েছে। আগামী ২৯ মার্চ সেই আবেদনের শুনানি হয় কিনা সেটাই দেখার।