অসমে ভোটপ্রচারে হঠাৎ চুমু উপহার পেলেন রাহুল
হঠাৎ চুমু। একটা গালে, তারপরেরটাই কপালে। এমন অভিনব অভ্যর্থনার কথা বোধহয় স্বপ্নেও ভাবেননি রাহুল গান্ধী। কিন্তু সেই না দেখা স্বপ্ন এবার বাস্তব হয়ে নেমে এক সোনিয়া পুত্রের জীবনে। ভোট প্রচারে এসে অসমের জোরহাটে একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ৬০০ জন মহিলার সঙ্গে আলাপ আলোচনার সময় অপ্রত্যাশিত চুমু `উপহার` পেলেন রাহুল।
হঠাৎ চুমু। একটা গালে, তারপরেরটাই কপালে। এমন অভিনব অভ্যর্থনার কথা বোধহয় স্বপ্নেও ভাবেননি রাহুল গান্ধী। কিন্তু সেই না দেখা স্বপ্ন এবার বাস্তব হয়ে নেমে এল সোনিয়া পুত্রের জীবনে। ভোট প্রচারে এসে অসমের জোরহাটে একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ৬০০ জন মহিলার সঙ্গে আলাপ আলোচনার সময় অপ্রত্যাশিত চুমু `উপহার` পেলেন রাহুল।
মহিলাদের সঙ্গে কথা বলার সময় কিছু মহিলা রাহুলের সঙ্গে হাত মেলাতে এগিয়ে আসেন। সেই মহিলাদের মধ্যেই একজন হঠাৎ করে রাহুলের গালে চুমু দেন। অপ্রত্যাশিত চুমুর `আক্রমণে` প্রথমে কিঞ্চিৎ লজ্জিত হয়ে পড়েন রাহুল। তবে ভারতের ভারতের অন্যতম `মোস্ট এলিজেবল ব্যাচেলর` কংগ্রেসের সুপুরুষ সহ সভাপতি নিজেকে সামলেও নেন জলদি।
অসমে মহিলা বেষ্টিত রাহুল প্রশংসায় ভরিয়ে দেন দেশের নারীদের। জোরহাটে মহিলাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন কারোর থেকেই মহিলাদের দক্ষতা কোনও অংশে কম নয়। তাঁর মতে মহিলারা পুরুষদের তুলনায় অনেক বেশি প্রতিভাশালী হন। রাহুলের মতে তাঁদের মানসিক জোর ও ধৈর্যেরও তুলনা হয় না। তাই মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব তাঁরা সহজেই পালন করতে পারেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
একটি প্রশ্নের উত্তরে রাহুল জানান ৩৩% -এর বদলে লোকসভা ও বিধানসভায় মহিলাদের জন্য ৫০% সংরক্ষণ থাকা উচিৎ।
তবে শুধু দেশের মহিলাদের গালভরা প্রশংসাতেই থেমে থাকেননি রাহুল। চিরকাল সরকারি আনুকূল্যে তুলনামূলক ভাবে দেশের অনান্য অঞ্চলের তুলনায় ভালরকম বঞ্চিত ভারতের উত্তর পূর্বের মেয়েরা অন্যদের থেকে অনেক বেশি সাহসী আর প্রতিভাশালী বলেও মন্তব্য করেন কংগ্রেসের সহসভাপতি।
তবে শুধু প্রশংসাতে চিঁড়ে ভিজবে না বুঝে উত্তর পূর্বের মহিলাদের উন্নতি কল্পে একাধিক প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি দিতেও ভোলেননি তিনি।