মদ খেলেই গণধোলাই, নিদান আন্না হাজারের
মন্দিরের সামনে কোনও ইলেকট্রিক পোস্টে বেঁধে ওই সুরাপায়ীকে উত্তমমধ্যম দিতে হবে! এতেই সব সমস্যা মিটে যাবে বলে মনে করে তিনি। কিন্তু নিজের জীবনে কি কখনও মাতাল দমনে পেশিশক্তির প্রয়োগ করেছেন অশীতিপর গান্ধিবাদী নেতা?
এত দিন পর্যন্ত সরকারি স্তরের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনেই নিজের কর্মকাণ্ড সীমাবদ্ধ রেখেছিলেন তিনি। এবার সরাসরি সমাজের `জঞ্জাল` সাফ করতে উদ্যোগী হলেন আন্না হাজারে। আর এ কাজে রালেগাঁও সিদ্ধির প্রবীণ সমাজকর্মীর প্রাথমিক নিশানা হয়েছে দেশের সুরারসিক জনতা। শুধু মদ্যপান বিরোধী প্রচার অভিযান বা মদ বিক্রির বিরুদ্ধে আন্দোলন নয়, টিভি ক্যামেরার সামনে `গান্ধিবাদী` আন্না সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, এলাকা পরিবেশ কলুসমুক্ত করার জন্য প্রয়োজন বুঝলে মদ্যপায়ীদের ইলেকট্রিক পোস্টে বেঁধে পেটাতে হবে। আন্না হাজারের মতে কোনও ব্যক্তি যদি মদ খেয়ে এলাকার পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করে তবে তাকে দু-তিন বার বোঝানো দরকার। এর পর এলাকার বাসিন্দাদের উচিত সেই মাতালকে ধরে নিয়ে স্থানীয় কোনও মন্দিরে গিয়ে মদ ছাড়ার শপথ করানো। কিন্তু এতেও যদি কাজ না হয়? অকপট আন্নার দাওয়াই, তা হলে মন্দিরের সামনে কোনও ইলেকট্রিক পোস্টে বেঁধে ওই সুরাপায়ীকে উত্তমমধ্যম দিতে হবে! এতেই সব সমস্যা মিটে যাবে বলে মনে করে তিনি। কিন্তু নিজের জীবনে কি কখনও মাতাল দমনে পেশিশক্তির প্রয়োগ করেছেন অশীতিপর গান্ধিবাদী নেতা? প্রাক্তন সেনাকর্মী আন্না হাজারের জবাব, তা কখনও-সখনও করতে হয়েছে বইকি। একটি টিভি চ্যানেলে আন্না হাজারের এই বক্তব্য প্রচারিত হওয়ার পরই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কংগ্রেসের তরফে `ইন্ডিয়া এগেনস্ট করাপশন`-এর কর্ণধারের এই মন্তব্যের সমালোচনা করে বলা হয়েছে, নাগরিকদের ব্যক্তিগত অধিকার হরণের পক্ষে সওয়াল করেছেন আন্না হাজারে। তাঁর বক্তব্যে জনতাকে অসাংবিধানিক, বেআইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্ররোচিত করেছেন। তাঁর এই মন্তব্য তালিবান-সুলভ। অন্য দিকে বিজেপি মুখপাত্র নির্মলা সীতারমন জানান, আন্নার মন্তব্য তাঁর ব্যক্তিগত অভিমত। বিজেপি আন্না হাজারের দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে সহমত হলেও এই মন্তব্যের সঙ্গে নয়।