Gorokhpur: টানা ৭ ঘণ্টা ক্লাসেই আটকে তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়া, গভীর রাতে পুলিস এসে উদ্ধার করল শিশুটিকে
গতবছর নভেম্বর মাসে মালদহে স্কুলে শৌচাগারের দেওয়াল ভেঙে মৃত্যু হয় এক পড়ুয়ার। কালিয়াচকের এক স্কুলে টিফিনের সময় শৌচালয়ে যায় শিজশান শেখ নামে এক পড়ুয়া। আর তখনই বিপত্তি বাধে। ভেঙে পড়ে শৌচালয়ের দেওয়াল
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ক্লাসে ঘুমিয়ে পড়েছিল তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়া। আর তাকে ক্লাস রুমে বন্ধ করে দিয়ে চলে গেলে স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। টানা ৭ ঘণ্টা স্কুলে আটকে রইল ওই শিশু। এমনই ঘটনা ঘটছে উত্তর প্রদেশের গোরক্ষপুরের পরমেশ্বরপুরে।
আরও পড়ুন-প্রেমদিবসে উষ্ণতায় ভিজিয়ে দিলেন CR7, রোনাল্ডোর রানি কে?
এদিকে, বিকেল গড়িয়ে সন্ধে হয়ে যাওয়ায় খোঁজ পড়ে যায় ওই খুদের। এলাকার বিভিন্ন জায়গা খুঁজে শিশুটির বাব-মা চলে আসেন স্কুলে। খবর দেন পুলিসেও। স্কুলের শিক্ষকরাও ক্লাস রুম তাল্লাশি না করেই বেরিয়ে যান। ফলে ক্লাসরুমেই আটক থাকে ওই পডুয়া। এদিকে পুলিও খুঁজতে খুঁজতে তলে আসে স্কুলে। তখনই তারা দেখে ক্লাসের ভেতর থেকে ফুঁপিয়ে কান্নার শব্দ আসছে। তারপর ক্লাসরুমের তালা ভেঙে উদ্ধার করা হয় ওই শিশুটিকে।
স্কুলে শিক্ষক বা অশিক্ষক কর্মচারীদের বেপরোয়া মনোভাবের এরকম আরও ঘটনা ঘটেছে বিভিন্ন সময়ে। কয়েক বথর আগে এই ফেব্রুয়ারি মাসেই দিল্লির কারওয়ালনগরের একটি স্কুল থেকে উদ্ধার হয় নবম শ্রেণির এক ছাত্রের মৃতদেহ। ওই ঘটনায় ৩ ছাত্রকে গ্রেফতার করে পুলিস। স্কুল দাবি করে, তুষার ক্লাসেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। প্রাথমিক ভাবে একই দাবি পুলিসেরও। দিল্লি পুলিস জানিয়েছে তুষারের দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে স্কুলের দাবি মানতে নারাজ তুষারের পরিবার। গোটা ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করেন তাঁরা।
গতবছর নভেম্বর মাসে মালদহে স্কুলে শৌচাগারের দেওয়াল ভেঙে মৃত্যু হয় এক পড়ুয়ার। কালিয়াচকের এক স্কুলে টিফিনের সময় শৌচালয়ে যায় শিজশান শেখ নামে এক পড়ুয়া। আর তখনই বিপত্তি বাধে। ভেঙে পড়ে শৌচালয়ের দেওয়াল। ঘটে যায় দুর্ঘটনা। বিদ্যালয়ের শৌচালয়ের দেওয়াল ভেঙে পড়ে চাপা পড়ে যায় জিসান শেখ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। আহত হয়েছে আরও এক ছাত্র। দেওয়াল চাপা পড়ে ছাত্রমৃত্যুর এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। স্কুল চত্বরে চড়াও হয় অভিভাবকরা। স্কুলে ভাঙচুর চালান উত্তেজিত জনতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোথাবাড়ি থানা থেকে বিশাল পুলিস বাহিনী পৌঁছয় ঘটনাস্থলে।