কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদলে গুঞ্জন রাহুল গান্ধীকে ঘিরেই
রবিবারই সম্ভবত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদল হতে চলেছে। মন্ত্রিসভায় সোনিয়া পুত্র রাহুল গান্ধীর অভিষেক নিয়ে এখন রাজধানীর রাজনৈতিক মহলে জোর গুঞ্জন চলছে। তবে এই গুঞ্জন আর জল্পনাকে খানিকটা ফিকে করেছে সচিন পাইলটের মন্তব্য। মন্ত্রিত্ব বা পদের থেকে জনগণের জন্য কাজ করতেই রাহুল গান্ধী বেশি আগ্রহী বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। সচিন এ কথা বলায় নতুন প্রশ্নও উঁকিঝুঁকি মারছে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি দলে আরও গুরু দায়িত্ব পেতে চলেছেন রাহুল গান্ধী ?
রবিবারই সম্ভবত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদল হতে চলেছে। মন্ত্রিসভায় সোনিয়া পুত্র রাহুল গান্ধীর অভিষেক নিয়ে এখন রাজধানীর রাজনৈতিক মহলে জোর গুঞ্জন চলছে। তবে এই গুঞ্জন আর জল্পনাকে খানিকটা ফিকে করেছে সচিন পাইলটের মন্তব্য। মন্ত্রিত্ব বা পদের থেকে জনগণের জন্য কাজ করতেই রাহুল গান্ধী বেশি আগ্রহী বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। সচিন এ কথা বলায় নতুন প্রশ্নও উঁকিঝুঁকি মারছে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি দলে আরও গুরু দায়িত্ব পেতে চলেছেন রাহুল গান্ধী ?
শরিক ডিএমকের মন্ত্রিত্ব খোয়ানো এবং তৃণমূল কংগ্রেসের ইউপিএ-র সঙ্গ ত্যাগের পর থেকেই মন্ত্রিসভায় বেশকতকগুলি পদ খালি। সরকারের একেবারে শীর্ষস্তরে কয়েক দফায় এই নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। দিনকয়েক আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন সোনিয়া পুত্র। ফলে মন্ত্রিসভায় রাহুলের যোগদান নিয়ে জল্পনা আরও জোরালো হয়েছে। বৃহস্পতিবারই রদবদল নিয়ে মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার বৈঠক সেরেছেন সোনিয়া গান্ধী। কিন্তু রাহুল গান্ধীর যোগদান নিয়ে জল্পনা থামেনি। একাংশের মতে দলেই আরও গুরু দায়িত্ব পেতে পারেন তিনি। সাধারণ সম্পাদক থেকে কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতির দায়িত্বভার দেওয়া হতে পারে রাহুল গান্ধীকে।
তবে জওহরলাল নেহেরুর আমলে কামরাজ প্ল্যান মাফিক এবারের মন্ত্রিসভায় রদবদল হতে পারে বলেই খবর। অর্থাত্ মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে এনে বেশকিছু বর্ষীয়ান নেতাকে সংগঠনের ভার দেওয়া হতে পারে। তেমনই সংগঠন থেকে বেশকয়েকজনকে আনা হতে পারে মন্ত্রিসভায়। সিপিযোশীর হাত থেকে রেলমন্ত্রকের বাড়তি দায়িত্ব চলে যেতে পারে। বিদেশমন্ত্রী এসএমকৃষ্ণকে সরিয়ে কর্ণাটকে সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। নতুন বিদেশমন্ত্রী হিসেবে উঠে আসছে আনন্দ শর্মা, সলমন খুরশিদের নাম। রদবদলের জেরে পশ্চিমবঙ্গ থেকে দুজনের নাম উঠে এসেছে। মন্ত্রীত্ব পেতে পারেন দীপা দাশমুন্সি, অধীর চৌধুরী। মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেতে পারেন রাহুল ঘনিষ্ঠ মানিকা ঠাকুর এবং মীনাক্ষী নটরাজন। তবে ডিএমকে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, এ রাজা এবং দয়ানিধি মারানের বদলি কোনও মন্ত্রিত্ব দাবি করবে না তারা। যা নিঃসন্দেহে স্বস্তি দিয়েছে কংগ্রেসকে। তবে বৃহস্পতিবারেও প্রধানমন্ত্রীর দফতরের প্রতিমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী দেখা করেছেন ডিএমকে প্রধান করণানিধির সঙ্গে। সম্ভবত রদবদল নিয়ে শরিক ডিএমকের সম্মতি আদায় করতেই এই সাক্ষাত্। যদিও সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি।