স্ত্রীর পোড়া দেহ স্যুটকেসে, কোলে সন্তান..প্রকাশ্যে এল আঁতকে ওঠার মতো CCTV ফুটেজ
হির হির করে টানতে টানতে ফ্ল্যাটের করিডর ধরে নিয়ে যাচ্ছেন সেই ভারী সুটকেস, দেখা গেল সিসিটিভি ফুটেজে
নিজস্ব প্রতিবেদন: ঠিক কী কারণে স্ত্রীকে মেরেছেন তা স্পষ্ট না হলেও যে সিসিটিভি ফুটেজ পুলিসের হাতে এসেছে তা খুবই ভয়ঙ্কর। কয়েকদিন আগে অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতিতে একটি যুবতীর ৯০ শতাংশ পুড়ে যাওয়া দগদগে দেহ উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিস। সেই দেহ নিয়ে শুরু হয় তদন্ত। সেই তদন্তের জট খুলতেই প্রকাশ্যে এল শ্রীকান্ত রেড্ডির নাম।
অভিযুক্ত শ্রীকান্তকে দেখা গিয়েছে ওই সিসিটিভি ফুটেজ। কোলে সন্তান, হাতে লাল রঙের বিরাট বড় একটি স্যুটকেস। হির হির করে টানতে টানতে ফ্ল্যাটের করিডর ধরে নিয়ে যাচ্ছেন সেই ভারী সুটকেস। আর সেই সুটকেসের মধ্যেই তখন ছিল তাঁর স্ত্রী-এর পোড়া দেহ। কোলে হলুদ জামা পড়ে, এক রত্তি মেয়ে। বাবার কর্মকাণ্ড তার চোখের সামনে স্পষ্ট কিন্তু দেড় বছরের শিশু আর কি বা বোঝে!
জানা গিয়েছে, শ্রীকান্তর স্ত্রীয়ের নাম ভুবনেশ্বরী। ২৭ বছরের ওই যুবতী হায়দরাবাদের একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। অন্যদিকে, স্বামীও কোন এক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। কিন্তু মহামারির কারণে দুজনেই বাড়ি থেকে কাজ করছিলেন তবে কাজ চলে যায় পেশায় ইঞ্জিনিয়ার শ্রীকান্তর। বাড়ি থেকে কাজ করছিলেন দুজনে। শ্রীকান্ত পরিবারকে জানায় ডেল্টা করোনা ভাইরাসের কারণে মৃত্যু হয়েছে ভুবনেশ্বরীর। তাই দেহ তিনি পাননি। হাসপাতালে কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব সহকারে শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছে বলে পরিবারকে জানিয়েছিল শ্রীকান্ত।
CCTV footage shows #SreekanthReddy had bought large red suitcase about a week ago & took it home; subsequently moved loaded box out of home, all the while carrying baby; suspicion is wife & techie Bhuvaneswari's body was inside suitcase & he tried to dispose it @ndtv @ndtvindia pic.twitter.com/WYJBtGnz5H
— Uma Sudhir (@umasudhir) June 29, 2021
কিন্তু শ্রীকান্তের হিসেবে একটু ভুল হয়ে যায়। সে একটি সরকারি হাসপাতাল এর কাছে ফেলে আসে ওই স্যুটকেস। সেই স্যুটকেসের সূত্র ধরেই তদন্তে নামে পুলিস। জানা যায় ভুবনেশ্বরী কে মারার পর মল থেকে কিনে আনেন স্যুটকেস। এরপর স্ত্রীর দেহ তাতে ভরে ফ্ল্যাট থেকে বের করে নিয়ে যান শ্রীকান্ত। পুলিস জানিয়েছে যখন দেহ উদ্ধার করে তখনও যুবতীর হার এবং মাথার খুলি ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট ছিল না।