বিহারে বোর্ড পরীক্ষায় অবাধে চলছে টুকলি, শিক্ষামন্ত্রী জানালেন টুকলি রোধে সরকার অপারগ
একটা ছবি। আর তাতেই নাজেহাল বিহারের নীতিশ কুমার সরকার। সমালোচনার জেরে বিহারের শিক্ষামন্ত্রী বাধ্যহইয়ে জানিয়ে দিলেন সে রাজ্যে নাকি 'টুকলি' বিহীন পরীক্ষা অসম্ভব।
পাটনা: একটা ছবি। আর তাতেই নাজেহাল বিহারের নীতিশ কুমার সরকার। সমালোচনার জেরে বিহারের শিক্ষামন্ত্রী বাধ্যহইয়ে জানিয়ে দিলেন সে রাজ্যে নাকি 'টুকলি' বিহীন পরীক্ষা অসম্ভব।
চলছে ক্লাস টেনের বোর্ড এক্সাম। পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে তখন দেওয়াল বেয়ে পরীক্ষার্থীদের উত্তর সাপ্লাইয়ে ব্যস্ত বন্ধু, পরিজনরা। বিহারের বৈশালির একটি পরীক্ষাকেন্দ্রের এই ছবি প্রকাশ্যে চলে আসার পরেই হইচই পড়ে যায়।
ক্যামেরাপার্সনদের বয়ানে তাঁরা এই দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন। গাদা গাদা লোক দেওয়াল বেয়ে উঠে জানলা দিয়ে টুকলির সামগ্রী সরবারহ করছে, আর নীচে দাঁড়িয়ে ভিড় করে আরও বহু লোকজন দেখছে 'কাজ' ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা।
তবে বিহারে এই দৃশ্য বিরল নয়। যে কোনও বোর্ড পরীক্ষার সময় টুকলি সরবারহের 'পরম্পরা' ভিন্ন ভিন্ন কায়দায় চলেই আসছে। অবস্থা এতটাই ভয়াবহ এবং নিয়ন্ত্রণহীন যে এক কথায় হাত তুলে দিয়েছে বিহার প্রশাসন। খোদ শিক্ষামন্ত্রী পিকে শাহি স্বীকার করে নিয়েছেন টুকলি বিহীন পরীক্ষাব্যবস্থা চালানো সে রাজ্যে অসম্ভব।
পড়ুয়াদের অভিভাবকরাই ব্যপকভাবে এতটাই এই কর্মকাণ্ডে জড়িত যে তাঁদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি না হলে বদলাবে না পরিস্থিতি।
এ বছর বহারে ক্লাস টেনের বোর্ড পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪ লক্ষের বেশি। আর পরীক্ষা চলাকালীনই জোরকদমে চলছে গণটুকলিও।
গত ১৭ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে পরীক্ষা। ৮০ হাজার পরীক্ষাকেন্দ্রে চলছে এই পরীক্ষা।
প্রাথমিকভাবে এই গণটুকলি আটকাতে গিয়ে হিংসাত্মক বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে প্রশাসনকে।
বিহারের শিক্ষামন্ত্রী জনগনকে সচেতন হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
এখনও পর্যন্ত ৬০০ জন পড়ুয়াকে টুকলির অপরাধে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মঙ্গল ও বুধবার যথাক্রমে অঙ্ক ও ইংরেজি পরীক্ষার দিন মোট ১,০০০ পড়ুয়াকে টুকলি করার সময় হাতেনাতে ধরা হয়েছে।