কেন্দ্রের পদক্ষেপ অবৈধ, সিবিআই মামলায় এ বার সুপ্রিম কোর্টে কংগ্রেস

মল্লিকার্জুন সিবিআই কর্তা নিয়োগের প্যানেলে এক সময় তিনি কাজ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং বিরোধী দলের প্রধানের নেতৃত্বে তৈরি প্যানেল সিবিআই অধিকর্তার নিয়োগ প্রক্রিয়ার তদারকি করে

Updated By: Nov 3, 2018, 04:05 PM IST
কেন্দ্রের পদক্ষেপ অবৈধ, সিবিআই মামলায় এ বার সুপ্রিম কোর্টে কংগ্রেস
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: রাফাল নিয়ে অস্ত্রে আরও শান দিলেন রাহুল গান্ধী। বাইরে থেকেই এতদিন কংগ্রেস বিরোধিতা করছিল। এ বার সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়ে প্রত্যক্ষভাবে রাফাল বিরোধিতার শরিক হল কংগ্রেস। শনিবার সিবিআই অধিকর্তা অলোক বর্মার ‘অপসারণ’ অবৈধভাবে হয়েছে বলে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করলেন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। মল্লিকার্জুনের অভিযোগ, অলোক বর্মাকে সরানোর পিছনে রাজনৈতিক কারণ রয়েছে। তাঁকে ছুটিতে পাঠানো বা অন্তর্বর্তীকালীন সিবিআই অধিকর্তা এম নাগেশ্বর রাওয়ের নিয়োগে কোনওটাই নিয়ম মেনে করেনি কেন্দ্র।

আরও পড়ুনউলফা যোগ অভিযোগে দেখলাই গগৈ নামে এক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করল অসম পুলিস

মল্লিকার্জুন সিবিআই কর্তা নিয়োগের প্যানেলে এক সময় তিনি কাজ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং বিরোধী দলের প্রধানের নেতৃত্বে তৈরি প্যানেল সিবিআই অধিকর্তার নিয়োগ প্রক্রিয়ার তদারকি করে। মল্লিকার্জুনের দাবি সেখানে সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশন (সিভিসি) কোনও ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। পাশাপাশি কারওর একক সিদ্ধান্তেও সিবিআইয়ের অধিকর্তাকে ছুটিতে পাঠানো বা নিয়োগ করা যেতে পারে না। মল্লিকার্জুন দাবি করেন, ২৬ অক্টোবর এ বিষয়ে একটি প্রধানমন্ত্রী দফতরে চিঠি লেখেন। কিন্তু সেই চিঠির কোনও জবাব মেলেনি। এর পরই আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

উল্লেখ্য, সিবিআই ডিরেক্টর হিসাবে অলোক বর্মার নিয়োগ নিয়ে ২০১৭ সালে বিরোধিতা করেছিলেন সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গে। সে দিন তাঁর যুক্তি ছিল, তদন্তকারী সংস্থার বিষয়ে কোনও অভিজ্ঞতা নেই ১৯৭৯ ব্যাচের এই আইপিএস অফিসারের। কিন্তু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে রাফালকে অন্যতম হাতিয়ার করেই এগোতে চাইছে কংগ্রেস। অলোক বর্মার ছুটির পিছনে রাফাল যোগ খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা। সিবিআইয়ের অন্তর্কলহের সঙ্গে রাফাল ইস্যু মিলিয়ে দেওয়ার কংগ্রেস মরিয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে। কংগ্রেস দাবি করে, রাফাল তদন্তের ফাইল অলোক বর্মার হাতে আসে। অন্য দিকে প্রশান্ত ভূষণ, অরুণ সৌরি, যশবন্ত সিনহারাও রাফাল তদন্ত করার জন্য অলোক বর্মার দ্বারস্থ হন। যা প্রবল অস্বস্তিতে ফেলে বিজেপি শিবিরকে। কংগ্রেসের দাবি, সে কারণেই রাতারাতি ছুটিতে পাঠানো হয় অলোক বর্মাকে।

আরও পড়ুন- ফের মোদীই প্রধানমন্ত্রী! ইঙ্গিত নয়া সমীক্ষায়

উল্লেখ্য, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হল অলোক বর্মা। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে সিভিসি ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এবং এই তদন্তের পুরোভাগে কবেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি একে পট্টনায়েক। পাশাপাশি সিবিআই অধিকর্তাদের অদবদল করার সিদ্ধান্তের জবাবদিহি ১২ নভেম্বর মুখবন্ধ খামে জমা দিতে হবে। তবে, কংগ্রেসের এই আবেদনের শুনানি এখনও স্থির হয়নি। আশা করা যাচ্ছে, দীপাবলির পরই শুনানির দিন স্থির করবে সুপ্রিম কোর্ট। 

.