Cow Smuggling: তিহাড়েই যাচ্ছেন অনুব্রত, সঙ্গে থাকা ৪টি ব্যাগ নিয়ে আরও বিপাকে কেষ্ট
Cow Smuggling: মঙ্গলবার রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতের বিচারক রঘুবীর সিংয়ের চেম্বার অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি হয়। সেখানে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল, ইডির আইনজীবী ও অনুব্রতর আইনজীবী সম্পৃক্তা ঘোষাল। শুনানি শেষে অনুব্রত মণ্ডলকে ১৩ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে
![Cow Smuggling: তিহাড়েই যাচ্ছেন অনুব্রত, সঙ্গে থাকা ৪টি ব্যাগ নিয়ে আরও বিপাকে কেষ্ট Cow Smuggling: তিহাড়েই যাচ্ছেন অনুব্রত, সঙ্গে থাকা ৪টি ব্যাগ নিয়ে আরও বিপাকে কেষ্ট](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2023/03/21/411911-4.png)
জ্য়োতির্ময় কর্মকার: ইডি হেফাজত থেকে এবার তিহাড় জেলে যাচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল। মঙ্গলবার তাঁকে ১৩ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল দিল্লির রাউজ অ্য়াভিনিউ আদালত। সেখানেই রয়েছেন অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন ও তাঁর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি। প্রশ্ন উঠছে, এবার কি তিহাড়ে গিয়েই অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ইডি?
আরও পড়ুন-কেন্দ্রের বঞ্চনা, বকেয়া আদায়ের দাবিতে ২ দিন ধর্নায় বসছেন মুখ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতের বিচারক রঘুবীর সিংয়ের চেম্বার অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি হয়। সেখানে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল, ইডির আইনজীবী ও অনুব্রতর আইনজীবী সম্পৃক্তা ঘোষাল। শুনানি শেষে অনুব্রত মণ্ডলকে ১৩ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী শুনানি হবে ৩ এপ্রিল। ওইদিন মণীশ কোঠারি ও অনুব্রত মণ্ডলকে একসঙ্গে আদালতে পেশ করা হবে।
অনুব্রতর জেলযাত্রার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল তাঁর কাছে ৪টি ব্যাগ রয়েছে। তাতে রয়েছে অনুব্রতর অক্সিজেন নেওয়ার মাস্ক, ইনহেলার, ওষুধপত্র। বারবার তিনি বিচারকের কাছে আবেদন করছিলেন ওই চারটি ব্যাগ তিনি নিয়ে যেতে চান। কারণ তা ছাড়া তার চলে না। এক্ষেত্রে জেলে ম্য়ানুয়ালের বাইরে কিছু করা যাবে না। অসুস্থতার কারণে তাঁকে জেলে না রেখে জেল হাসপাতালে রাখা হতে পারে। সেখান থেকেই তাঁকে যাবতীয় ওষুধ দেওয়া হবে। অনুব্রত মণ্ডল যে পাজামা পরেন তাতে দড়ি থাকে। সেই পাজামা নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তৈরি হয়েছে জটিলতা। কারণ জেলে তাঁকে ইলাস্টিক দেওয়া পাজামা ব্যবহার করতে হবে। ফলে ওইসব জিনিস নিয়েই জটিলতা তৈরি হয়েছে। তবে জানা যাচ্ছে অনুব্রতর যে ওষুধ চলছে তা তাকে দেওয়া হবে। তাঁকে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে ওয়েস্ট্রার্ন টয়লেট। তাঁর নিজের ওষুধ যদি তাকে ব্যবহার করতে হয় তাহলে তাঁকে আদালত থেকে অনুমতি নিতে হবে।
এদিকে, গতকাল দ্বিতীয়বার ইডির হাজিরা এড়িয়েছেন অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের ১৬ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের সন্ধান আগেই পেয়েছে ইডি। সেই এফডি যে গোরু পাচারের টাকাতেই হয়েছে তা মণীশ কোঠারি জানিয়েছেন ইডিকে। এমনটাই সূত্রের খবর। এবার সুকন্যার আরও ১০ কোটি টাকা ফিক্সড ডিপোজিটের সন্ধান পেল ইডি।
বোলপুরের ব্যাঙ্ক অব বরোদা-য় সুকন্যা মণ্ডলের নামে ১১টি ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে। ওইসব ফিক্সড ডিপোজিটের মোট মূল্য ৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা। এছাড়াও সল্টলেক এসবিআইয়ের এক শাখায় রয়েছে ৫টি ফিক্সড ডিপোজিট। এর মূল্য ৪ কোটি ৫৭ লাখ ৬৬ হাজার ২৬৪ টাকা। ওইসব ফিক্সড ডিপোজিট খোলা হয়েছে ২ বছরের মধ্যে। সময়টা ২০১৯ সালে মার্চ থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারির মধ্যে।