ঘরের মেঝেতে দম্পতি ও মেয়ের ক্ষতবিক্ষত দেহ, খাটে কাতরাচ্ছে ছেলে!

বুধবার সকালে দিল্লির বসন্ত কুঞ্জের কিষাণগড় থেকে একই পরিবারের তিন সদস্যদের রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়।  গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আরও একজন।

Updated By: Oct 10, 2018, 01:45 PM IST
ঘরের মেঝেতে  দম্পতি ও মেয়ের ক্ষতবিক্ষত দেহ, খাটে  কাতরাচ্ছে ছেলে!

 নিজস্ব প্রতিবেদন:    মেঝেতে পড়ে রয়েছে দম্পতি, খাটের ওপর পড়ে ছেলে-মেয়ে। প্রত্যেকের শরীরেই একাধিক ক্ষত। রক্তে ভেসে যাচ্ছে মেঝে। তিন জন প্রায় সংজ্ঞা হারিয়েছেন। খাটের ওপর পড়ে থাকা বছর বারোর কিশোর তখন কাতরাচ্ছে। দৃশ্য দেখে প্রায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন প্রতিবেশীরা। বুধবার সকালে দিল্লির বসন্ত কুঞ্জের কিষাণগড় থেকে একই পরিবারের তিন সদস্যদের রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়।  গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আরও একজন।

আরও পড়ুন: রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার সিদ্ধান্ত কীভাবে? জানতে চাইল শীর্ষ আদালত

পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে,  দুই ছেলেমেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে বসন্ত কুঞ্জের কিষাণগড়ের  বাড়িতে থাকেন  মিথিলেশ ভর্মা  নামে ওই ব্যক্তি।  এলাকায় সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি নামে পরিচিত মিথিলেশের সেরকম কোনও শুক্র ছিল  না বলেই জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। বুধবার সকালে দীর্ঘক্ষণ ওই পরিবারের কাউকে দেখতে না পেয়ে বাড়িতে যান তাঁরা। প্রতিবেশীদের দাবি, শোওয়ার ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন মিথিলেশ ও তাঁর স্ত্রী। খাটের ওপর পড়ে ছিল তাঁদের ছেলে-মেয়ে। সকলেরই শরীরে একাধিক ক্ষত ছিল। দেখে মনে হচ্ছিল, ধারালো কোনও অস্ত্র দিয়ে একাধিকবার আঘাত করা হয়েছে। ঘরের মেঝে রক্তে ভেসে যাচ্ছিল।

আরও পড়ুন: ‘হানিট্র্যাপ’ ও মোটা টাকার চাকরির টোপে তথ্য ফাঁস ব্রাহ্মস বিজ্ঞানী নিশান্তের!

স্থানীয়রাই থানায় খবর দেন। পুলিস গিয়ে সকলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে চিকিত্সকরা জানিয়ে দিয়েছেন, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয়েছে মিথিলেশ, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে তাঁদের ছেলে।

আরও পড়ুন: দিল্লির পরিবহনমন্ত্রী কৈলাস গেহলটের বাড়িতে আয়কর দফতরে হানা

প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, কেউ বা কারা রাতে মিথিলেশের বাড়িতে চুরি করতে ঢুকেছিল। ধরা পড়ে যাওয়ার পরই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে।  রান্নাঘরে সবজি কাটার ছুরি খুনী ব্যবহার করেছে বলে অনুমান পুলিসের।   তবে পুলিস এও জানিয়েছে, মিথিলেশের বাড়ির আলমারির লকার থেকে কিছু খোয়া যায়নি। লকার বন্ধ অবস্থাতেই ছিল।  মনে করা হচ্ছে, চোর  চুরি করার আগেই ঘুম ভেঙে গিয়েছিল মিথিলেশ ও তাঁর স্ত্রী। ধরা পড়ার পরেই তাঁদের খুন করেছে চোর। খুনের দৃশ্য তাঁদের ছেলেমেয়ে দেখা ফেলাতে, হামলা হয় তাদের ওপরও।

.