"আমি জোড়া খুন করেছি", যুবকের মুখে একথা শুনে চমকে উঠল পুলিস
জেরায় রাহুল জানিয়েছে, মালা লাখানি তাঁকে টাকা দিতেন না। এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই মালা লাখানির উপর ক্ষুব্ধ ছিলেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন : দিল্লির অভিজাত এলাকায় জোড়া খুন। নিজের ওয়ার্কশপের দর্জির হাতেই খুন হলেন এক ফ্যাশন ডিজাইনার ও তাঁর পরিচারক। অভিযুক্ত দর্জিকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
রাজধানীর গ্রিন পার্ক এলাকায় একটি বুটিক চালাতেন ফ্যাশন ডিজাইনার মালা লাখানি। সেই বুটিকেই দর্জির কাজ করতেন রাহুল আনোয়ার। গতকাল রাতে বসন্ত কুঞ্জের বাড়িতে মালা ও পরিচারক বাহাদুরের ছুরিবিদ্ধ রক্তাক্ত দেহ মেলে।
আরও পড়ুন, ধর্ষণ করে খুন? ৫ দিনের মাথায় নিখোঁজ নাবালিকার ভেসে উঠল পুকুরে
এদিন ভোরে নিজেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে খুনের কথা স্বীকার করেন রাহুল। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দুই আত্মীয় রহমত ও ওয়াসিম। তিনজনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিস।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্তদের মূল উদ্দেশ্য ছিল ডাকাতি করা। জেরায় রাহুল জানিয়েছে, মালা লাখানি তাঁকে টাকা দিতেন না। এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই মালা লাখানির উপর ক্ষুব্ধ ছিলেন তিনি। বেশ কয়েকবার বচসাও হয় মালা লাখানির সঙ্গে।
আরও পড়ুন, দাদার বন্ধুর সঙ্গেই প্রেমের সম্পর্কে জড়ায় বোন, কেউ ভাবতে পারেনি পরিণতি এমন নৃশংস হতে পারে!
এরপরই বুধবার রাতে মালা লাখানির বাড়িতে আত্মীয়দের নিয়ে ডাকাতির ছক কষে রাহুল। ডাকাতিতে বাধা পেয়েই, ৫৩ বছরের ফ্যাশন ডিজাইনারকে রাহুল আনোয়ার খুন করেন বলে জানিয়েছে পুলিস। মালা লাখানিকে বাঁচাতে এসে খুন হন পরিচারক বাহাদুরও।
আরও পড়ুন, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস, বোনের গর্ভে এল মামাতো দাদার সন্তান, পরের ঘটনা আরও ভয়াবহ
প্রসঙ্গত, পুলিসের খাতায় এর আগেই নাম উঠেছিস অভিযুক্ত রাহুল আনোয়ারের। ২০১৭ সালে তাঁর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের হয়েছিল।