হাতের লেখা অত্যন্ত খারাপ, চিকিত্সকদের শাস্তি দিল আদালত
ডাক্তারদের খারাপ হাতের লেখাটা যেন একটা প্রচলিত সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
![হাতের লেখা অত্যন্ত খারাপ, চিকিত্সকদের শাস্তি দিল আদালত হাতের লেখা অত্যন্ত খারাপ, চিকিত্সকদের শাস্তি দিল আদালত](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2018/10/05/145745-doc.gif)
নিজস্ব প্রতিনিধি : উন্নাওয়ের ডা. টিপি জয়সোয়াল, সীতাপুরের ডা. পিকে গোয়েল এবং গোন্ডার ডা. আশীষ সাক্সেনা প্রায় হা হয়ে শুনছিলেন বিচারকের রায়। এমনও হতে পারে! বিচারপতি অজয় লাম্বা এবং বিচারপতি সঞ্জয় হারকাউলির বেঞ্চ ততক্ষণে তীব্র ভর্তসনা করছেন তিনজনকে। এত পর্যন্ত মেনে নিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের তিন জনপ্রিয় চিকিত্সক। কিন্তু এর পর আচমকাই বিচারক হাতের লেখা খারাপের জন্য তাঁদের শাস্তির ঘোষণা করলেন। আর তাতেই চমকে উঠলেন চিকিত্সকরা। এমনও হয় নাকি! প্রত্যেককে আলাদা আলাদাভাবে ৫ হাজার টাকা করে আর্থিক জরিমানা করেন বিচারকরা।
আরও পড়ুন- উন্নতশীল অন্য দেশের বাজারের তুলনায় ভাল জায়গায় টাকা: উর্জিত পটেল
চিকিত্সকদের দাবি, অতিরিক্ত কাজের চাপ থাকায় প্রেসক্রিপশনে হাতের লেখা অতটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বিচারকের সামনে এমন অজুহাত ধোপে টেকেনি। শেষ পর্যন্ত আদালতের সামনে ক্ষমা চাইতে হয় চিকিত্সকদের। এবং দিতে হয় আর্থিক জরিমানা। খারাপ হাতের লেখার জন্য অনেক সময়ই ডাক্তারদের প্রেসক্রিপশনে লেখা ওযুধের নাম উদ্ধার করতে পারেন না রোগীরা। অনেক সময় একই সমস্যায় পড়তে হয় ওযুধের দোকানের মালিকরাও। ডাক্তারদের খারাপ হাতের লেখাটা যেন একটা প্রচলিত সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই সারা দেশে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চিকিত্সকদের শাস্তি দিল উত্তরপ্রদেশের এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনৌ বেঞ্চ।
আরও পড়ুন- গুরমিত রাম রহিমকে জামিন দিল সিবিআই আদালত
লখনৌ বেঞ্চে গত সপ্তাহে তিনটি আলাদা ফৌজদারি মামলা শুনানির জন্য উঠেছিল। মামলাগুলোতে ভুক্তভোগীদের আঘাতজনিত তথ্যের মেডিক্যাল রিপোর্ট যথাক্রমে সীতাপুর, উন্নাও এবং গোন্ডা জেলার হাসপাতাল থেকে ইস্যু করে জমা পড়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ডাক্তারদের রিপোর্ট পড়ে উদ্ধার করতে পারেননি বিচারক। এর পরই মুখ্য স্বরাষ্ট্র সচিব, মুখ্য চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সচিব এবং চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরিচালককে বিচারক নির্দেশ দেন, ভবিষ্যতে যেন গুরুত্বপূর্ণ মেডিক্যাল রিপোর্ট বোধগম্য হাতের লেখায় লিখে পাঠানো হয়। প্রয়োজন হলে কম্পিউটার টাইপ করে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয় আদালতের তরফে।