ঝাড়খণ্ডের গণপিটুনি ঘটনায় ‘গাফিলতির’ অভিযোগ চিকিত্সকদের বিরুদ্ধে

ঘটনার চার দিন পর তবরেজকে জেলার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবরেজের শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়া সত্ত্বেও কেন দায়িত্বে থাকা পুলিস অফিসাররা ঊর্ধ্ব কর্তৃপক্ষকে জানাননি, সে নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে

Updated By: Jun 25, 2019, 02:53 PM IST
ঝাড়খণ্ডের গণপিটুনি ঘটনায় ‘গাফিলতির’ অভিযোগ চিকিত্সকদের বিরুদ্ধে
ছবি-টুইটার

নিজস্ব প্রতিবেদন: ঝাড়খণ্ডের গণপিটুনি ঘটনায় চিকিত্কদের ভূমিকা খতিয়ে দেখছে স্পেশাল তদন্তকারী দল বা সিট। ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে ১১ জনকে। গাফিলতির অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে চন্দ্রমোহন ওরাঁও এবং বিপিন বিহারী নামে দুই পুলিস অফিসারকে। বুধবারের মধ্যে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব এবং মুখ্য সচিবের কাছে রিপোর্ট জমা দিতে হবে সিট-কে।

বিরোধীদের ক্ষোভের মুখে পড়ে সোমবার সিট গঠন করে রঘুবর দাসের সরকার। সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে সরকারি চিকিত্সকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সিট-এর আধিকারিকরা। পুলিসি হেফাজতে আসার পর তবরেজ আনসারিকে প্রাথমিক চিকিত্সা করানো হয়। সে সময় তাঁকে ‘ক্লিনচিট’ দিয়ে জেলে পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তবরেজকে হাসপাতালে ভর্তির নির্দেশ না দেওয়ার সংশ্লিষ্ট চিকিত্সকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

ঘটনার চার দিন পর তবরেজকে জেলার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবরেজের শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়া সত্ত্বেও কেন দায়িত্বে থাকা পুলিস অফিসাররা ঊর্ধ্ব কর্তৃপক্ষকে জানাননি, সে নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ ওঠে।

আরও পড়ুন- বন্দুক দেখিয়ে গাড়ি থামাচ্ছে পুলিস, চালাচ্ছে তল্লাশি! ভাইরাল হল ভিডিয়ো

সেরাইকেলা-খরসবনের পুলিস সুপার কার্তিক এস জানান, তরবেজের পরিবাবরের অভিযোগও খতিয়য়ে দেখা হচ্ছে। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতেই ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তরবেজের স্ত্রী শহিসতা পরভিন জানান, মুসলিম বলেই তাঁকে নির্মমভাবে খুন করা হল। গত মঙ্গলবার জমশেদপুর থেকে ফেরার সময় সেরাইকেলায় বাইক চোর সন্দেহে তরবেজকে বেধড়ক মারে জনতা। সারা রাত পোস্টে বেঁধে তাঁর উপর অকথ্য অত্যচার চালানো হয়। তাঁকে দিয়ে ‘জয় শ্রীরাম’, ‘জয় হনুমান’ স্লোগান বলানোর চেষ্টা চলে। পরের দিন তরবেজকে উদ্ধার করে পুলিস।

সোমবার ঝাড়খণ্ডের গণপিটুনির ঘটনা সংসদে তুলে ধরেন কংগ্রেস সাংসদ গুলাম নবি আজাদ। তিনি বলেন, “নতুন ভারত চাই না। পুরনো ভারতে ফিরে যেতে চাই আমরা। যেখানে হিংসা, গণপিটুনির ঘটনা ছিল না। যেখান সব ধর্মকে সমান চোখে দেখা হতো।”

.