সাবধানের মার নেই, কেরল-সহ একাধিক রাজ্যকে এখনই লকডাউন শিথিল না করার নির্দেশ কেন্দ্রের
সাবধানের মার নেই। আলাদা করে কেরল সরকারকে সে বিষয়ে চিঠি দিয়ে সতর্ক করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নতুন করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা কম। সেই দেখে আজ থেকে রাজ্যের দুটি জোনে লকডাউন শিথিল করে দেওয়ার ঘোষণা করেছে বামশাসিত কেরল। একই পথে হেঁটে লকডাউন হালকা করার পরিকল্পনা করছে কম করোনা আক্রান্ত রাজ্যগুলি। এবার সে বিষয়েই রাজ্যগুলিকে সতর্ক করল কেন্দ্র। সাময়িক স্বস্তি আনতে গিয়ে এক ধাক্কায় বেড়ে যেতে পারে সংক্রমণ। তাই আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে কেরল-সহ রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
সাবধানের মার নেই। আলাদা করে কেরল সরকারকে সে বিষয়ে চিঠি দিয়ে সতর্ক করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কারণ সোমবার থেকেই লকডাউন রাজ্যের ২টি জোনে অনেকটাই শিথিল করার পরিকল্পনায় কেরল সরকার। ব্যক্তিগত যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা তোলার পাশাপাশি রেঁস্তোরা, সেলুন, বইয়ের দোকান ইত্যাদি খুলে দেওয়ার ঘোষণা করেছে কেরল। শুধু তাই নয়, কেরল সরকার নির্দিষ্ট কিছু কম দূরত্বের রুটে বাসও চালানো যাবে বলে ঘোষণা করে।
এভাবে যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা যে মারাত্মক, তা চিঠিতে বুঝিয়ে দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সাময়িকভাবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকলেও অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের ফলে পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হতে বেশি সময় লাগবে না, সেই দিকটা তুলে ধরেই কেরল সরকারকে সাবধান করে দিল কেন্দ্র।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী সোমবার থেকে দেশের নির্দিষ্ট কিছু স্থানে, যেখানে সংক্রমণের সংখ্যা কম, সেখানে ধীরে ধীরে লকডাউন লঘু করা হবে। আর সেই অনুযায়ী রবিবার রাজ্যগুলি কোন কোন ক্ষেত্রে লকডাউন শিথিল করা হবে সে বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করে। সেই নির্দেশিকায় কেন্দ্রের লকডাউন শিথিল করার নির্দেশিকার বাইরেও বেশ কিছু ক্ষেত্রে লকডাউন শিথিল করার ঘোষণা করে রাজ্যগুলি। আর তারপরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা চিঠি লিখে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে সাবধান করেন। কেন্দ্রের নির্দেশিকা অক্ষরে অক্ষরে পালন করার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়ার কথা বলেন তিনি। পুরো বিষয়টি শৃঙ্খলা বজায় রেখে লকডাউনের বিধি মেনে করার কথাও লেখা হয় চিঠিতে।
আরও পড়ুন: করোনা টেস্টে নেগেটিভ না হলে মুসলিম রোগী ভর্তি নেব না, বিজ্ঞাপন দিল মেরঠের হাসপাতাল