করোনা বিপর্যয়ে জিএসটি, আয়কর জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ালেন অর্থমন্ত্রী
২০১৮-১৯ আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল চলতি বছরের ৩১ মার্চ। তা বাড়িয়ে করা হল ৩০ জুন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। থমকে গিয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য। বন্ধ আর্থিক লেনদেন। ঝাঁপ পড়েছে কলকারখানায়। এমন পরিস্থিতিতে একাধিক ঘোষণা করে শিল্পসংস্থাগুলিকে স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। মঙ্গলবার তাঁর ঘোষণা,
২০১৮-১৯ আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল চলতি বছরের ৩১ মার্চ। তা বাড়িয়ে করা হল ৩০ জুন।
আয়কর জমা দেওয়ায় দেরি হলে সুদের হার ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে করা হয়েছে ৯%।
আধারের সঙ্গে প্যান সংযুক্তিকরণের সময়সীমা ৩১ মার্চ থেকে বাড়িয়ে করা হল ৩০ জুন।
টিডিএস রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ দিন অপরিবর্তিত থাকছে। তবে বিলম্বিত জমায় আগে লাগত ১৮ শতাংশ সুদ। এখন তা কমিয়ে করা হয়েছে ৯ শতাংশ।
৫ কোটি টাকার কম বার্ষিক লেনদেন সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্নের ক্ষেত্রে কোনওরকম বিলম্বিত ফি (লেট ফি) দিতে হবে না। তবে সুদ দেবে তারা।
নতুন সংস্থার নথিভুক্তিকরণের পর ৬ মাসের মধ্যে ঘোষণাপত্র (declaration) জমা দিতে হতো। তার সময়সীমা বাড়ানো হল আরও ৬ মাস।
মার্চ-এপ্রিল-মে জিএসটি জমা দেওয়ার সময়সীমা বেড়ে হয়েছে ৩০ জুন।
আগামী ৩ মাস ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে যে কোনও ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে টাকা তোলা যাবে। সেজন্য কোনও চার্জ কাটা হবে না।
অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ব্যালেন্স না থাকলেও চার্জ লাগবে না। সীতারমনের আবেদন, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ব্যাঙ্কে যাওয়ার দরকার নেই। অনলাইনেই লেনদেন করুন।
Insolvency & Bankruptcy Code শিথিল করা হয়েছে। অনাদায়ের সীমা এক লক্ষ থেকে বাড়িয়ে করা হল ১ কোটি টাকা।
দেশের অধিকাংশ এলাকায় লকডাউন। তার জের পড়েছে ভারতীয় শেয়ারবাজারে। ধস নামছে সেনসেক্স-নিফটিতে। অর্থমন্ত্রী বলেন, শেয়ার বাজারের টালমাটাল অবস্থার উপরে নজরদারি রাখছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও অর্থমন্ত্রক। বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করেছে সেবি। নিজেদের অবস্থানও স্পষ্ট করেছে।
আরও পড়়ুন- গ্রাম-থেকে শহর, আজ বিকেল ৫টা থেকে রাজ্যজুড়ে লকডাউন, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর