Delhi Police: বন্ধুর মেয়েকে ঘরে আশ্রয় দিয়ে ধর্ষণ সরকারি অফিসারের, পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে এলেন স্ত্রী
Delhi Police: ২০২০ সালে বাবার মৃত্যু হয় ওই কিশোরীর। তারপরই বাবার ওই বন্ধু তাকে এনে তার বাড়িতে আশ্রয় দেয়। পুলিসকে ওই কিশোরী জানিয়েছে ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্য়ে একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করেছে তার বাবার ওই সহকর্মী
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দিল্লি সরকারের নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের এক অফিসারের বিরুদ্ধেই মারাত্মক অভিযোগ। তাঁর বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া বন্ধুর মেয়েকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছেন তিনি। সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে বেরিয়ে এল কীভাবে ওইরকম একটি অপরাধে জড়িয়েছিল ওই সরকারি কর্মীর স্ত্রীও। কয়েক মাস ধরে চলছিল ওই নির্যাতন।
আরও পড়ুন-অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগের পরদিনই ইস্তফা যাদবপুরের ডিন অব সায়েন্সের
বন্ধু মারা যাওয়ায় তার মেয়েকে নিজের বাড়িতে এনে রেখেছিলেন দিল্লি সরকারের ওই অফিসার। সেই সুযোগেই ১৪ বছরের ওই কিশোরীর উপরে দিনের পর দিন যৌন নির্যাতন চালাতেন ওই ব্যক্তি। এদিন সেই কাহিনী প্রকাশ্যে এসেছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো ধারায় মামলাও হয়েছে। পাশাপাশি শিশু নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে ওই সরকারী কর্মীর স্ত্রী বিরুদ্ধেও।
২০২০ সালে বাবার মৃত্যু হয় ওই কিশোরীর। তারপরই বাবার ওই বন্ধু তাকে এনে তার বাড়িতে আশ্রয় দেয়। পুলিসকে ওই কিশোরী জানিয়েছে ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্য়ে একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করেছে তার বাবার ওই সহকর্মী। কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে গোটা ঘটনা স্ত্রীর কাছে খুলে বলে ওই সরকারি অফিসার। এবার আসরে নামেন তার স্ত্রী। তিনিই ছেলেকে দিয়ে গর্ভনিরোধক ওষুধ আনিয়ে নেন কাছাকাছি দোকান থেকে। সেই ওষুধ খেয়ে ওই কিশোরীর গর্ভপাত হয়ে যায়। পুলিসকে এমনটাই জানিয়েছে ওই কিশোরী।
আপতত চিকিত্সা চলছে ওই তরুণীর। পুলিস এখনও তার কোনও বয়ান রেকর্ড করেনি। পুলিস এনিয়ে বিস্তারিত তদন্ত করছে।
সম্প্রতি অ্যাংজাইটিতে ভুগছিল ওই কিশোরী। চিকিত্সা করাতে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই হাসপাতালের এক কাউন্সেলরকে সে গোটা ঘটনা খুলে বলে। ওই ঘটনা বলার পরই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে নেওয়া হয়। এরপরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিসে খবর দেয়। তার পরেই অভিযুক্ত অফিসারের বিরুদ্ধে পকসো সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।