Gyanvapi: জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতরে রয়েছে ত্রিশূল-পদ্ম? সিল করা রিপোর্ট ফাঁস হতেই বিতর্ক
বৃহস্পতিবার, জ্ঞানবাপী মসজিদ প্রাঙ্গণে ভিডিওগ্রাফি সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হয়। যদিও প্রতিবেদনটি মুখ বন্ধ খামে জমা দেওয়া হয়েছে। তবে সেখান থেকেই কিছু তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে, তহখানার স্তম্ভে কলস, পদ্ম ও ত্রিশূলের শিল্পকর্ম রয়েছে৷ এছাড়াও হিন্দু পুজোয় ব্যবহৃত ঘণ্টার মতো দেখতে শিল্পকর্মের নিদর্শন দেখা গিয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে ক্রমশই বাড়ছে চর্চা। বৃহস্পতিবার, জ্ঞানবাপী মসজিদ প্রাঙ্গণে ভিডিওগ্রাফি সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হয়। যদিও প্রতিবেদনটি মুখ বন্ধ খামে জমা দেওয়া হয়েছে। তবে সেখান থেকেই কিছু তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে, তহখানার স্তম্ভে কলস, পদ্ম ও ত্রিশূলের শিল্পকর্ম রয়েছে৷ এছাড়াও হিন্দু পুজোয় ব্যবহৃত ঘণ্টার মতো দেখতে শিল্পকর্মের নিদর্শন দেখা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, পাঁচ মহিলা আদালতের কাছে আবেদন করেছিলেন যে তাদের জ্ঞানবাপি মসজিদের ভিতরে পুজো করার অনুমতি দেওয়া উচিত। তাদের দাবি, মসজিদে হিন্দু দেব-দেবীর মূর্তি রয়েছে। পাশাপাশি, ওজুখানার জলাধারের নীচে প্রাচীন শিবলিঙ্গের উপস্থিতিরও দাবি উঠেছে। বারাণসী আদালতের বিচারক রবিকুমার দিবাকরের নির্দেশে তিন অ্যাডভোকেট কমিশনার, এএসআই-এর বিশেষজ্ঞ এবং যুযুধান দু’পক্ষের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সমীক্ষা এবং ভিডিয়োগ্রাফির চূড়ান্ত রিপোর্ট ১৯ মে আদালতে জমা পড়ার কথা ছিল।
আরও পড়ুন: Babita Sarkar, SSC: ৪ বছরের লড়াইয়ে SSC-তে জয়, 'উনি ভগবান', বলছেন ববিতা
মুসলিম পক্ষের দাবি, ওজুখানার পাথরের কাঠামো আদতে একটি ফোয়ারার নির্গমন মুখ। মুঘল যুগে তাজমহল-সহ অনেক স্থাপত্যেই ফোয়ারার উপস্থিতি রয়েছে। যদিও হিন্দুদের তরফে দাবি শিবলিঙ্গের চরিত্র বদলে দেওয়ার উদ্দেশ্যে পরবর্তীকালে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে মুখটি কেটে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, অ্যাডভোকেট কমিশনার অজয় কুমার মিশ্র, যাঁকে সম্প্রতি পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছিল, তিনি বলেছিলেন এর আগে‘ ব্যারিকেডিংয়ের বাইরে উত্তর ও পশ্চিম দেয়ালের কোণে পুরানো মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ এবং দেবতার কাঠামো পাওয়া গিয়েছে। হিন্দু দেবী ও পদ্মরও সন্ধান মিলেছে। একটি ফলকে শেষনাগ নকশা ছিল।"
যদিও ওয়াকিবহাল মহলের তরফে বলা হয়েছে, রিপোর্ট প্রকাশ্যে ফাঁস হওয়ায় জ্ঞানবাপী মসজিদ ও কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। সুপ্রিম কোর্টের এটির দিকে নজর দেওয়া উচিত ।