মোদীর মার্কিন সফর
নয়াদিল্লি: রাষ্ট্র সংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন নরেন্দ্র মোদী। এই সফরে মোদী বিশেষ ভাবে জোর দিচ্ছেন আমেরিকার সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক মজবুত করার উপরে। নিউইয়র্ক এবং ওয়াশিংটনে বহুজাতিক সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মোদী। তিরিশে সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী।
শুক্রবার রাষ্ট্র সংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে প্রথমবারের জন্য আমেরিকায় পা রাখছেন নরেন্দ্র মোদী। এবারের সফরে রাষ্ট্র সংঘ ছাড়াও নিয় ইউর্ক এবং ওয়াশিংটনে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। তার গোটা সফরই কূটনৈতির এবং বানিজ্যিক কর্মসূচিতে ঠাসা।
সাতাশে সেপ্টেম্বর
নিউইয়র্কে নয় এগারোর স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধা জানাবেন মোদী।
এ দিনই রাষ্ট্র সংঘের উনসত্তর ৬৯ তম বার্ষিক সাধারণ অধিবেশনে বক্তব্য রাখবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক করবেন রাষ্ট্র সঙ্ঘের মহা সচিব বান কি মুনের সঙ্গেও।
বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে পার্শ্ব বৈঠক করলেও এই সফরে মোদী ও নাওয়াজ শরিফের মধ্যে বৈঠক হচ্ছে না।
আঠাশে সেপ্টেম্বর
নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কোয়ার গার্ডেন প্রকাশ্য জনসভায় বক্তব্য রাখবেন নরেন্দ্র মোদী।
এই সভার উদ্যোগ নিয়েছেন আমেরিকার ভারতীয়রা। সভায় উপস্থিত থাকতে চেয়ে তিরিশ হাজার জন নিজেদের নাম রেজিস্ট্রেশন করিয়েছেন।
মোদীর সফর নিয়ে আশাবাদী আমেরিকার ভারতীয়রা।
উনত্রিশে সেপ্টেম্বর
প্রতরাশে এগারোজন শীর্ষ কর্পোরেট কর্তার সঙ্গে বৈঠক করবেন মোদী। আলাদা ভাবে কথা বলবেন ছ জন ব্যবসায়ীর সঙ্গে।
এদিনই নিয়ইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটনে যাবেন মোদী।
ওয়াশিংটনে মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য দের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন, প্রাক্তন বিদেশ সচিব হিলারি ক্লিল্টনের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।
সোমবার রাতে হোয়াইট হাউসে মোদীকে প্রাইভেট ডিনারে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্টে।
তিরিশে সেপ্টেম্বর
ওয়াশিংটনের মার্টিন লুথার কিং এবং আব্রাহাম লিঙ্কনের মেমোরিয়ালে শ্রদ্ধা জানাবেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার তিনশর বেশি ব্যবসায়ীর সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।
এদিনই হোয়াইট হাউসে বারাক ওবামার সঙ্গে বৈঠক নরেন্দ্র মোদীর। ইন্দো মার্কিন সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষে বৈঠক করবেন দুই রাষ্ট্র নেতা।
প্রথম মর্কিন সফর নরেন্দ্র মোদীর কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ গুজরাত হিংসার পরবর্তী সময়ে সময়ে আমেরিকা মোদীকে ভিসা দিতে অস্বীকার করেছিল। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে মত বলদ করেছে আমেরিকা। তাই আমেরিকার ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করাই মোদীর এই সফরের টার্গেট।