অন্ধ্রপ্রদেশে ২০ জন চন্দনকাঠ পাচারকারীর মৃত্যুর পুলিসি রিপোর্ট চাইল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

Updated By: Apr 8, 2015, 10:30 PM IST
অন্ধ্রপ্রদেশে ২০ জন চন্দনকাঠ পাচারকারীর মৃত্যুর পুলিসি রিপোর্ট চাইল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

চিত্তুরের জঙ্গলে পুলিসের গুলিতে ২০ জন চন্দনকাঠ পাচারকারীর মৃত্যুর ঘটনায় অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারকে নোটিস দিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এঘটনায় পুলিসের ভূমিকা সম্পর্কে ২ সপ্তাহের মধ্যে অন্ধ্রের মুখ্যসচিব ও পুলিসের ডিজিকে রিপোর্ট দিতে বলেছে কমিশন।  মৃতদের পরিবারের জন্য ৩ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে অন্ধ্র সরকার।

মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুকে ফোন করে ঘটনা সম্পর্কে রিপোর্ট চেয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং।  ইতিমধ্যেই ঘটনার ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার। অন্ধ্র পুলিসের দাবি, শেষাচলম জঙ্গলে তল্লাসির সময় প্রায় একশো পাচারকারী লাঠি ও কুড়ুল নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। কিন্তু হামলাকারীদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র না থাকলেও কেন গুলি পুলিস চালাল , সেই প্রশ্ন অস্বস্তি বাড়াচ্ছে প্রশাসনের।

''এই ঘটনায় অন্তত ২০জন স্মাগলার মারা গেছে। বাকি পাচারকারীদের খুঁজতে আমরা ওই অঞ্চলে এই মুহুর্তে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছি।'' জানিয়েছেন অন্ধ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী নিম্মাকায়ালা চিনারাজাপ্পা।

গত ১০ বছর ধরে অন্ধ্রে এই লাল চন্দন কাঠের বেআইনি পাচার বাড়বাড়ন্ত। পাচারকারীদের সঙ্গে এনকাউন্টারে আগে প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কয়েকজন বন আধিকারিক।

মূলত তামিলনাড়ু থেকে আগত এই কাজে নিযুক্ত বেশ কয়েকজন কুলিকে এর আগে গ্রেফতার করা হলেও মূল পাচারকারীদের হদিশ পাওয়া যাচ্ছিল না।

গত বছর অন্ধ্রে টিডিপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু এই লাল চন্দন কাঠ পাচারকারীদের বিলোপের প্রতিশ্রুতি দেন। এই বেআইনি কার্যকলাপ থামাতে পুলিসের বিশেষ বাহিনী গঠনের নির্দেশ দেন তিনি।

 

.