আর্সেনিক মুক্ত মিষ্টি জলের লক্ষ্যে এবার সুইডেনের সঙ্গে হাত মেলাল কেন্দ্রীয় সরকার
বছর পাঁচেকের মধ্যে রাজ্যের মানুষকে আর্সেনিক মুক্ত মিষ্টি জল খাওয়াতে এবার সুইডেনের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধছে সরকার। ভিশন টোয়েন্টি-টোয়েন্টি নামে এই প্রকল্পে প্রতিদিন মাথাপিছু সত্তর লিটার করে জল সরবরাহ করা হবে। তার জন্য ধার্য করা হয়েছে একুশ হাজার কোটি টাকা। জাপানি সংস্থা জায়কার থেকে এর জন্য ঋণও নিচ্ছে রাজ্য সরকার। এ ছাড়া প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রের থেকেও টাকা পাওয়া গিয়েছে। কাজ শুরু হবে আগামী মাসে।
অবশেষে আর্সেনিকের ছোবল থেকে মুক্তি। আশায় বুক বাঁধছে বেহালা, টালিগঞ্জ, গার্ডেন রিচ, লেক গার্ডেন্সের বিস্তীর্ণ এলাকা, মালদা, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, দুই চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, হুগলি এবং বর্ধমান। কারণ, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এই বিস্তীর্ণ জনপদের ভূগর্ভস্থ জলাধারকে আর্সেনিক-মুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। আর্সেনিক-যুক্ত জল খেয়ে ইতিমধ্যেই জীবনমৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা কষছেন এই নয় জেলার বহু মানুষ। হৃত্পিণ্ড, ত্বক, অন্ত্র, মস্তিষ্কের নানা ধরনের সমস্যায় আক্রান্ত প্রায় সত্তর লক্ষ মানুষ। অনেকে আবার ফুসফুসের ক্যান্সারেও আক্রান্ত। এই সব মানুষের কাছে আর্সেনিকমুক্ত জল পৌছে দেওয়ার লক্ষ্যে এ বার স্টকহোমের KTH রয়্যাল ইনস্টিটিউটের সঙ্গে মৌ স্বাক্ষর করল রাজ্য সরকার।
আগামী মাসেই রাজ্যে তিরাশিটি আর্সেনিক কবলিত ব্লকে কাজ শুরু করে দিচ্ছে KTH রয়্যাল ইনস্টিটিউট। প্রথম ধাপে সাধারণ মানুষ এবং টিউব ওয়েলের কারিগরদের আর্সেনিক চিনতে সাহায্য করবেন বিশেষজ্ঞরা। দ্বিতীয় ধাপে যন্ত্রের সাহায্যে মাটির নীচে পাঠানো হবে অক্সিজেন। তাতে রসায়নিক বিক্রিয়ায় মাটির নীচেই থিতিয়ে যাবে বিষাক্ত এই মৌল পদার্থটি।
বাংলাদেশে আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল সরবরাহ করার কাজে সাফল্য পেয়েছে KTH রয়্যাল ইনস্টিটিউট। এ বার ডেস্টিনেশন পশ্চিমবঙ্গ।