ফুটপাথে পড়ে সদ্যোজাত কন্য়াসন্তান,উদ্ধার করল যোগীর পুলিস
একটি বিদেশি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে সমীক্ষায় দেখা গেছে প্রায় ১ কোটি কন্যাভ্রূণ হত্যা হয়েছে ভারতে বিগত ২০ বছরে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: লাল শালে মোড়া তিনদিনের সদ্যোজাত কন্যা, ঠিকানা উত্তর প্রদেশের ফুটপাত। এরকমই ঘৃণ্য ঘটনার সাক্ষী থাকল যোগী রাজ্য। মঙ্গলবার নয়ডার সেক্টর-১২২ এ ফুটপাত থেকে একটি শিশু কন্যাকে উদ্ধার করেছে পুলিস। খুব বেশি হলে দুই বা তিনদিন আগেই সূর্যের আলো দেখেছে এই সদ্যোজাত। আর আজ তার স্থান ফুটপাতে। পুলিস শিশুকন্যাটিকে উদ্ধার করে কৈলাশ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছে। ইতিমধ্যেই চাইল্ডলাইন ফাউন্ডেশনের সঙ্গে সদ্যোজাতর বাসস্থানের বিষয়ে কথা বলেছে পুলিস।
जानवर भी ऐसा नहीं करता। लॉकडाउन में नोएडा के सेक्टर-122 के पास एक नवजात बच्ची को कोई छोड़कर चला गया है। पुलिस मौके पर पहुंची और बच्ची को लेकर गई।बच्ची को मथुरा केयर सेंटर भेजा जाएगा। पुलिस का कहना है कि कोई लॉक डाउन का फायदा उठाकर बच्ची को रख गया है। pic.twitter.com/Bimg7HKk3N
— मीडियावाला (@JournoPuruGuru) April 29, 2020
কিন্তু বিংশ শতাব্দীতেও কেন এরূপ আচরণ! কেন আজও কন্যাসন্তানকে পারিবারিক বোঝা হিসেবে ধরা হচ্ছে? এশিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটসের তথ্য থেকে এরকমই চাঞ্চল্যকর প্রশ্ন উঠে আসছে। তাঁদের তথ্যে বলা হয়েছে ভারতে পুত্রসন্তানকে আগে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। কারণ, পন প্রথার দরুন কন্যা মানেই আর্থিক বোঝা ধরে নেওয়া হয়। তাই বারবার কন্যা সন্তানকে রাস্তায় বা ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে।
আরও পড়ুন:নকল আরোগ্য সেতু অ্যাপ বানিয়ে ভারতীয় সেনার উপর নজরদারি চালাচ্ছে পাকিস্তানের গুপ্তচররা
একটি বিদেশি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে সমীক্ষায় দেখা গেছে প্রায় ১ কোটি কন্যাভ্রূণ হত্যা হয়েছে ভারতে বিগত ২০ বছরে। যা থেকে ভারতের করুন ছবিটা স্পষ্ট আন্দাজ করা যায়। তবে টুইটারে এই কুড়িয়ে পাওয়া কন্যাসন্তানের ছবিটি পোস্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এই পাশবিক ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন অনেকে। কেউ কেউ যুক্তি দেখিয়েছেন লকডাউনের জেরে অনাহারে রয়েছেন অনেকে। তাঁদের মধ্যেই কেউ এমনটা ঘটিয়েছেন। কিন্তু লকডাউনের আগেও বারবার এরকম ঘটনা দেখেছে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র। ফের এই নির্মম ঘটনা দেখে তাই কান্নায় ভেসেছেন বহু ভারতীয়।