বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উত্সবের
বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উত্সবের। অনুষ্ঠানের ছাড়পত্র দিতে পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য করেছে জাতীয় পরিবেশ আদালত। তবে অনুষ্ঠানের আয়োজক ধর্মগুরু শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও ক্ষতিপূরণ দেবেন না তিনি। প্রয়োজনে জেলে যেতেও রাজি তিনি। এগারই মার্চ থেকে যমুনার তীরে শুরু হওয়ার কথা আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উত্সবের। কিন্তু এই অনুষ্ঠান ঘিরে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি ও দূষণের অভিযোগ উঠেছে।
ওয়েব ডেস্ক: বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উত্সবের। অনুষ্ঠানের ছাড়পত্র দিতে পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য করেছে জাতীয় পরিবেশ আদালত। তবে অনুষ্ঠানের আয়োজক ধর্মগুরু শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও ক্ষতিপূরণ দেবেন না তিনি। প্রয়োজনে জেলে যেতেও রাজি তিনি। এগারই মার্চ থেকে যমুনার তীরে শুরু হওয়ার কথা আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উত্সবের। কিন্তু এই অনুষ্ঠান ঘিরে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি ও দূষণের অভিযোগ উঠেছে।
অনুষ্ঠানের জন্য যমুনার তীরে প্রচুর নির্মাণ কাজ হয়েছে। অভিযোগ এর ফলে দিল্লি থেকে নয়ডা পর্যন্ত প্রায় হাজার একর জলাভূমি চিরদিনের মতো হারিয়ে যাবে। অনুষ্ঠানের জন্য বাড়বে দূষণ। ক্ষতি হবে নদীর বাস্তুতন্ত্রের। এই অভিযোগ ঘিরে মামলা গড়ায় জাতীয় পরিবেশ আদালতে। ছাড়পত্র দিতে, পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য করে জাতীয় পরিবেশ আদালত। কিন্তু সময়সীমা পেরোলেও জমা পড়েনি ক্ষতিপূরণের টাকা । ক্ষতিপূরণের টাকা জমা না দিলে, অনুষ্ঠানের অনুমতি বাতিল করে দেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছে জাতীয় পরিবেশ আদালত।
ধর্মগুরু শ্রী শ্রী রবিশঙ্করের দাবি, তাঁরা কোনও ভুল করেননি। মুখ খুলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নাইডু। তিনি বলেছেন হিন্দু, ভারত এসব নিয়ে যখনই কথা হয় তখনই বিরোধিতা করা হয়। এদিন শ্রী শ্রী রবিশঙ্করের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুতে বিক্ষোভ দেখান সমাজকর্মীরা। সবমিলিয়ে অনুষ্ঠান শুরুর লগ্নেও বিতর্কের জালে আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উত্সব। তবে এইসব বিতর্কের মধ্যেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, যদিও থাকছেন না রাষ্ট্রপতি।