৪০ জন রোহিঙ্গাকে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পাকিস্তান, ভারতে বড় নাশকতার ছক
জামাত উল মুজাহিদ্দিন অফ বাংলাদেশের সঙ্গে গোপনে ষড়যন্ত্র করছে আইএসআই।


নিজস্ব প্রতিবেদন : ৪০ জন রোহিঙ্গাকে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পাকিস্তান। বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা এমনই খবর দিয়েছে ভারতের সীমান্ত রক্ষীদের। আর এই ৪০ জন রোহিঙ্গার জঙ্গি প্রশিক্ষণে সবরকম সহায়তা করছে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। ভারতে বড়সড় নাশকতার ছক কষছে পাকিস্তান। আর সেই উদ্দেশ্যেই ৪০ জন রোহিঙ্গাকে বেছে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দিচ্ছে আইএসআই। সুযোগ বুঝে এই ৪০জনকে বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢোকানোর ছক কষেছে তারা।
জামাত উল মুজাহিদ্দিন অফ বাংলাদেশের সঙ্গে গোপনে ষড়যন্ত্র করছে আইএসআই। ঢাকার কক্সবাজার থেকে ৪০ জন রোহিঙ্গাকে বেছে নিয়েছে তারা। সেই ৪০ জনকে জঙ্গি প্রশিক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছে জামাত উল মুজাহিদ্দিন অফ বাংলাদেশ। আইএসআই তাদের সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে বলে খবর। বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, এই ৪০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য জামাত উল মুজাহিদ্দিন অফ বাংলাদেশকে ইতিমধ্যে এক কোটি টাকা সহায়তা করেছে আইএসআই। বাংলাদেশ-পাকিস্তান সীমান্তের কোনও গোপন ডেরায় প্রশিক্ষণ চলছে তাঁদের।
আরও পড়ুন- বিক্ষোভের থোড়াই কেয়ার! শুক্রবার দেশজুড়ে চালু হয়ে গেল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন
বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা আরও জানিয়েছে, এক-এক খাতে কয়েক কোটি টাকা দিয়ে জেএমবিকে সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছে আইএসআই। গত কয়েক মাসে একাধিকবার জঙ্গিদের ভারতে ঢোকানোর চেষ্টা করেছে পাকিস্তান। কিন্তু সীমান্তে ভারতীয় সেনার কড়া পাহারার জন্য পাকিস্তানের সমস্ত ছক বানচাল হয়েছে। এমনিতেই রোহিঙ্গাদের বিভিন্নরকম সমাজবিরোধী কার্যকলাপে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের সরকার। তার মধ্যে এমন খবর বাংলাদেশের সরকারের দুশ্চিন্তার নতুন কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনিতেই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ ছিল বাংলাদেশের উপর। কিন্তু এবার তারা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফেরত নেওয়ার জন্য মায়ানমারের উপর ফের চাপ দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।