৭ দিনের মধ্যে তামিল নাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী পদে ফিরতে চলেছেন জয়ললিতা
বেকসুর খালাস হওয়ার পর ফের তামিল নাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী পদে ফিরতে চলেছেন জয়ললিতা। খবর অনুযায়ী, ১ সপ্তাহের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন এআইডিএমকে প্রধান জয়ললিতা। সম্ভবত মে মাসের ২০ তারিখের আগেই শপথ নেবেন তিনি। তবে এই বিষয়ে এআইডিএমকে সূত্রে নিশ্চিত ভাবে কিছু জানানো হয়নি।
ওয়েব ডেস্ক: বেকসুর খালাস হওয়ার পর ফের তামিল নাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী পদে ফিরতে চলেছেন জয়ললিতা। খবর অনুযায়ী, ১ সপ্তাহের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন এআইডিএমকে প্রধান জয়ললিতা। সম্ভবত মে মাসের ২০ তারিখের আগেই শপথ নেবেন তিনি। তবে এই বিষয়ে এআইডিএমকে সূত্রে নিশ্চিত ভাবে কিছু জানানো হয়নি।
আইন অনুযায়ী শপথ নেওয়ার ৬ মাসের মধ্যে সংসদে নির্বাচিত হতে হবে জয়ললিতাকে। সোমবার বেঙ্গালুরুর কর্ণাটক হাইকোর্টের স্পেশাল বেঞ্চ ৬৬ কোটি টাকার দুর্নীতি মামলায় আম্মাকে বেকসুর খালাস করার পর জয়ললিতা বলেন, আইনের জয় হয়েছে। নিম্ন আদালতের বিচারে ৪ বছর কারাবাস ও ১০০ কোটি টাকা জরিমানার রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কর্ণাটক হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন জয়ললিতার আইনজীবী। সোমবার হাইকোর্ট রায় শোনানোর পরই তামিল নাড়ু জুড়ে উত্সবে মেতে ওঠে আইডিএমকে।
শুধু জয়ললিতা নয়, তার সঙ্গে দোষী সাব্যস্ত হওয়া অপর ৩ জনকেও বেকসুর নির্দোষ হিসেবেই রায় দিয়েছে কর্ণাটক হাইকোর্ট। এদের মধ্যে রয়েছেন জয়ললিতা ঘনিষ্ঠ শশীকলা নটরাজন। নিম্ন আদালতের রায় ৪ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ কোটি টাকা জরিমানা হয়েছিল তার। জয়ললিতার বাজেয়াপ্ত সম্পত্তিও মুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে কর্ণাটক হাইকোর্ট। রায় ঘোষণার কয়েক মিনিটের মধ্যেই জয়ললিতার বাড়িতে ছুটে যান তামিল নাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ও পনিরসেলভাম। সঙ্গে ছিলেন অন্যান্য এইআইডিএমকে নেতারাও।
অন্যদিকে, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন ডিএমকে নেতা ও তামিল নাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এম করুণানিধি, বিজেপি সাংসদ সুহ্মমণিয়ম স্বামী। তবে এই প্রথম নয়, এর আগে ২০০০ সালে দু'টি মামলায় জয়ললিতাকে ৩ বছর ও ২ বছর কারাবাসের সাজা শুনিয়েছিল ট্রায়াল কোর্ট। ২০০১ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয় তাকে। ২০০২ সালে মাদ্রাজ হাইর্কোটে নির্দোষ প্রমাণিত হলে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় ফেরেন জয়ললিতা। আন্দিপাত্তি বিধানসভা থেকে নির্বাচিত হন তিনি।