India's Brutal Rape Case: ইঞ্জেকশন দিয়ে বেহঁশ করে ধর্ষণ! ড. কবিতার ভয়ংকর কাহিনী কোমার সঙ্গেই তলিয়ে যায় অতলে...
Kolkata Doctor Rape-Murder Case: ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা পর অচৈতন্য অবস্থায় হাসপাতাল চত্বর থেকেই উদ্ধার করা হয় কবিতাকে। সঙ্গে মেলে খালি সিরিঞ্জ, খালি ইনসুলিনের বোতল। সারা শরীরে অজস্র ক্ষত, গায়ে- মুখে কামড়ের দাগ। কিন্তু তাঁর আর জ্ঞান ফেরেনি। মৃত্যুর সময় কবিতার ওজন ছিল ১৫ কেজি
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আরজি করের ঘটনা স্মৃতি ফেরাচ্ছে ২০০৭ সালের দিল্লির ইএসআই হাসপাতালে ডা. কবিতাকে (পরিবর্তিত নাম) নির্মম ধর্ষণ ও খুনের আখ্যান। অন্যদিনের মতোই রাতের ডিউটি সেরে হস্টেলে ফিরছিলেন বছর ২৬-এর সেই তরুণী পেডিট্রিশিয়ান। পরেরদিন জনকপুরীতে দিদির বাড়ি যাওয়ার কথা। সে যাওয়া তো হল তবে এক বছর পর নিথর দেহে। কলকাতা শহরে তরুণী ডাক্তারের ধর্ষণ ও খুন ফেরাচ্ছে ১৭ বছর আগের সেই স্মৃতি।
পাঞ্জাবের মেয়ে নিজের পেশাকে সম্বল করে পাড়ি দিয়েছিলেন রাজধানী। তখনও জানতেন না এমন রাত অপেক্ষা করছে তার জন্য। ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা পর অচৈতন্য অবস্থায় হাসপাতাল চত্বর থেকেই উদ্ধার করা হয় কবিতাকে। সঙ্গে মেলে খালি সিরিঞ্জ, খালি ইনসুলিনের বোতল। সারা শরীরে অজস্র ক্ষত, গায়ে- মুখে কামড়ের দাগ। অন্তর্বাস নেই, উপুড় হয়ে পড়ে আছে সে। সারারাত, সকাল বোনের খোঁজ না পেয়ে হাসপাতালে আসে দিদি। বোনকে শুয়ে থাকতে দেখে ডাকেও বারবার। কিন্তু তার ফেরাতেই চিত্কার করে ওঠে সে। এ কী ভয়ানক দৃশ্য!
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, মাদক খাইয়ে কিংবা মাদকের ইঞ্জেকশন দিয়ে অচৈতন্য করে শারীরিক নিগ্রহ করা হয়েছিল। কোমায় চলে গিয়েছিল সে। যদিও চিকিত্সার খরচ বহন করেছিল সরকার। কিন্তু আর জ্ঞান ফেরেনি। মৃত্যুর সময় কবিতার ওজন ছিল ১৫ কেজি। তখন সোশ্যাল মিডিয়া এত সোচ্চার ছিল না। তবু পরিবার ও সাধারণ মানুষ হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে, তথ্যপ্রমাণ লোপাটের। ডাক্তারি পরীক্ষায় কারচুপির অভিযোগে প্রথমেই গ্রেফতার করা হয় ওই হাসপাতালের চিফ মেডিক্যাল অফিসারকে। সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাবে তদন্ত বেশি দূর এগোয়নি। আজও অধরা কবিতার দোষীরা।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)