বামেদের কনভেনশন কাছাকাছি আনল অকংগ্রেস-অবিজেপি চোদ্দটি দলকে
সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী মঞ্চই কাছাকাছি এনে দিল অকংগ্রেস-অবিজেপি চোদ্দটি দলকে। বামদলগুলি একে রাজনৈতিক জোট না বললেও, এ দিনের দিল্লি কনভেনশনকে তৃতীয় ফ্রন্ট গড়ার প্রথম ধাপ হিসেবেই দেখছে নীতীশ কুমার-শরদ যাদবের জেডিইউ। সাম্প্রদায়িক শক্তিকে আটকাতে এই ধরনের মঞ্চের প্রয়োজনের কথা মেনে নিয়েছে ইউপিএ শরিক এনসিপি-ও।
সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী মঞ্চই কাছাকাছি এনে দিল অকংগ্রেস-অবিজেপি চোদ্দটি দলকে। বামদলগুলি একে রাজনৈতিক জোট না বললেও, এ দিনের দিল্লি কনভেনশনকে তৃতীয় ফ্রন্ট গড়ার প্রথম ধাপ হিসেবেই দেখছে নীতীশ কুমার-শরদ যাদবের জেডিইউ। সাম্প্রদায়িক শক্তিকে আটকাতে এই ধরনের মঞ্চের প্রয়োজনের কথা মেনে নিয়েছে ইউপিএ শরিক এনসিপি-ও।
মুলায়ম সিং যাদব, নীতীশ কুমার, শরদ যাদব, প্রকাশ কারাট, সীতারাম ইয়েচুরি, এ বি বর্ধন, দেবেগৌড়া। মঞ্চে রাজনৈতিক তারকাদের ভিড়। সঙ্গে ফরওয়ার্ড ব্লক, আরএসপি তো বটেই, হাজির নবীন পট্টনায়েকের বিজেডি, জয়ললিতার এআইএডিএমকে, প্রফুল্ল মহন্তর অগপ, পঞ্জাবের পিপিপি, জেএমএম, আরপিআই-র প্রতিনিধিরাও। সব মিলিয়ে চোদ্দটি দল। কিন্তু বুধবার তালকাটোরা স্টেডিয়ামের কনভেনশনকে ভোটের সঙ্গে জুড়তে নারাজ বাম নেতারা। তাঁদের দাবি, সাম্প্রদায়িকতার বিরোধিতাই কনভেনশনের এক ও একমাত্র লক্ষ্য।
বিজেপি-কে টার্গেট করেছেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো মুলায়ম সিং যাদবও। কনভেনশনের অন্যতম আহ্বায়ক জেডিইউ নেতারা কিন্তু সোজাসাপ্টা বুঝিয়ে দিয়েছেন, এই কনভেনশনই লোকসভা ভোট পরবর্তী তৃতীয় ফ্রন্ট গড়ার রাস্তাটা চওড়া করতে পারে। কনভেনশনে সামিল কোনও দলই তেমন ভাবে কংগ্রেসের সমালোচনা করেনি। তাতে অবশ্য কংগ্রেসের হাসি চওড়া হওয়ার উপায় নেই। প্রথম কারণ, কংগ্রেসকে ডাকাই হয়নি কনভেনশনে। আর দ্বিতীয় কারণ, কংগ্রেসের জোটসঙ্গী শরদ পাওয়ারের এনসিপি-ও হাজির কনভেনশনে।
সব মিলিয়ে স্পষ্ট, নাম যা-ই হোক না কেন তালকাটোরা স্টেডিয়ামের কনভেনশনে ভোট পরবর্তী তৃতীয় ফ্রন্টের মহড়াটাই হয়ে গেল। মঞ্চের টার্গেট লিস্টে চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলুগু দেশম, জগন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস, ন্যাশনাল কনফারেন্সের নাম থাকলেও নেই তৃণমূল কংগ্রেসের নাম।