চাপে পড়ে ধর্ষক ও ধর্ষিতার মধ্যে 'মধ্যস্থতার' বিতর্কিত রায় প্রত্যাহার মাদ্রাজ হাইকোর্টের
ধর্ষণ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য প্রত্যাহার করল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। এই রায়ে মাদ্রাজ হাইকোর্ট একটি ধর্ষণের মামলায় ধর্ষকের সঙ্গে ধর্ষিতার মধ্যস্থতার রায় দিয়েছিল। রায়দানের পরের দিনই সুপ্রিমকোর্টে তীব্র সমালোচিত হয় এই রায়। সারা দেশেই এই রায়ের বিরোধিতা করা হয়। শেষপর্যন্ত চাপে পড়ে নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল মাদ্রাজ হাইকোর্ট।
ওয়েব ডেস্ক: ধর্ষণ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য প্রত্যাহার করল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। এই রায়ে মাদ্রাজ হাইকোর্ট একটি ধর্ষণের মামলায় ধর্ষকের সঙ্গে ধর্ষিতার মধ্যস্থতার রায় দিয়েছিল। রায়দানের পরের দিনই সুপ্রিমকোর্টে তীব্র সমালোচিত হয় এই রায়। সারা দেশেই এই রায়ের বিরোধিতা করা হয়। শেষপর্যন্ত চাপে পড়ে নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল মাদ্রাজ হাইকোর্ট।
একটি নিউজ চ্যানেলে প্রচারিত খবর অনুযায়ী মাদ্রাজ হাইকোর্ট ইতিমধ্যে বাতিল করেছে ওই ধর্ষকের জামিন। প্রাথমিকভাবে সম্ভাব্য মধ্যস্থতার কথা মাথায় রেখে মঞ্জুর করা হয়েছিল ধর্ষকের জামিনের আবেদন। রায় দেওয়া হয়েছিল নিগৃহীতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে যেন মিটমাট করে নেয় অপরাধী। আজ সেই রায়ই প্রত্যাহার করা হল। নতুন রায় অনুযায়ী আগামী ১৩ জুলাইয়ের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে হবে ধর্ষককে।
২০০২ সালে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে জেলে যায় ওই ব্যক্তি। মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি পি দেবদাস রায় দেন নিগৃহীতার সঙ্গে মধ্যস্থতা করতে জেল ত্যাগ করতেই পারে ধর্ষক। একইসঙ্গে দেবদাস জানান এর আগেও এই ধরণের রায় দিয়েছেন তিনি। যেখানে ধর্ষিতাকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছিল তাঁর ধর্ষক। তাঁর মতে এই রায় এই ধরণের মামলার ''সুখী সমাধান''।
মধ্যপ্রদেশের একই ধরণের একটি মামলার শুনানির সময় মাদ্রাজ হাইকোর্টের এই রায়ের কথা গোচরে আসে সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে এই রায়ের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। সাফ বলা হয় এই ধরণের রায় মহিলাদের পক্ষে অত্যন্ত অসম্মানজনক এবং বেআইনিও।