হাথরস কাণ্ড : এসপিকে চিঠি অভিযুক্তদের! আমরা মারিনি, ও আমাদের বন্ধু ছিল, ফোন করত
তাঁদের মারধরের চোটে সেদিন নির্যাতিতা প্রাণ হারিয়েছিলেন বলে দাবি করেছে চার যুবক।


নিজস্ব প্রতিবেদন- সন্দীপ, রামু, রবি ও লব কুশ। হাথরস গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত এই চারজন। এই চারজন আপতত হাথরসের জেলে বন্দি রয়েছে। আর এবার জেল থেকেই হাথরসের এসপি-কে চিঠি লিখল এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত সন্দীপ। ওই চিঠিতে বাকি তিন জনের স্বাক্ষর ও আঙুলের ছাপও রয়েছে। জেলার অলোক সিং জানিয়েছেন, নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করে চিঠি লিখেছে ওই চারজন। এমনকী ঘটনার দিন কী হয়েছিল, তারো বিবরণ রয়েছে ওই চিঠিতে। চারজনের দাবি, নির্যাতিতার পরিবারের তরফে তাদেরকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। এই মামলায় অভিযুক্ত নির্যাতিতার মা ও ভাই। তাঁদের মারধরের চোটে সেদিন নির্যাতিতা প্রাণ হারিয়েছিলেন বলে দাবি করেছে চার যুবক।
কিছুদিন আগে বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক রাজবীর সিং পেহেলওয়ান দাবি করেছিলেন, চার যুবককে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। নির্যাতিতার পরিবার, হাথরসের সাংসদ রাজবীর সিং দিলের এবং তাঁর মেয়ে মঞ্জু গ্রামের চার যুবককে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। নির্যাতিতার মৃত্যুর জন্য দায়ী তাঁর মা ও ভাই। তাঁরাই ১৯ বছর বয়সী দলিত মেয়েটিকে মেরে ফেলেছে বলে দাবি করেছিলেন তিনি। চার অভিযুক্তের বয়ান মোটামুটি একই। তাঁরা এর আগেও দাবি করেছিল, মেয়েটির সঙ্গে তাঁদের বন্ধুত্ব ছিল। এমনকী চারজনের সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোনে কথা হত চারজনের। আর তা নিয়েই মেয়েটির বাড়ির লোকের আপত্তি ছিল। বহুবার ওই চার জনের সঙ্গে কথা বলার জন্য মেয়েটিকে তার মা ও ভাই শাসাত বলে অভিযোহ। এমনকী প্রকাশ্যে মারধর করেছিলেন বলেও দাবি করেছে চার অভিযুক্ত।
আরও পড়ুন- হাথরসের ঘটনা কি তবে অনার কিলিং?
এদিন এসপিকে লেখা চিঠিতে চারজন দাবি করেছে, আসল ঘটনা থেকে পুলিস প্রশাসনের নজর ফিরিয়ে দিতে তাঁদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। ঘটনার দিন মূল অভিযুক্ত সন্দীপ ওই ক্ষেতের দিকে গিয়েছিলেন। তবে সেদিন নির্যাতিতার মা ও ভাই তাঁকে ক্ষেতে যাওয়ার আগে আটকাযন। তখন অকারণে ঝামেলা না বাড়িয়ে বাড়ি ফিরে আসেন সন্দীপ। এরপরই তিনি নাকি জানতে পারেন, মেয়েটির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে ক্ষেত থেকে। সন্দীপের দাবি, গ্রামের চার যুবকের সঙ্গে ফোনে কথা বলা ও বন্ধুত্ব রাখার বিষয়টি মেয়েটির মা ও ভাই মেনে নিতে পারত না। তাই মাঝেমধ্যেই মেয়েটির উপর নির্যাতন চালাতো তাঁর। ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের চিঠি পৌঁছেছে এসপির টেবিলে। তদন্তের ভার এখন সিবিআই-এর উপর। এই চিঠি কি তদন্তে প্রভাব ফেলবে! তা নিয়ে অবশ্য মুখ খুলতে নারাজ পুলিস প্রশাসন।