ফেসবুকে জয়রামের চিঠির কড়া সমালোচনা করলেন মমতা
বোধনের আগেই বাজল যুদ্ধের দামামা। জয়রাম রমেশের কটাক্ষের জবাব দিতে ফেসবুককে হাতিয়ার করে ফের রণং দেহী মুখ্যমন্ত্রী। উধাও উত্সবের ফিল গুড ফ্যাক্টর। উনিশে অক্টোবর কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশ একটি চিঠি পাঠান মুখ্যমন্ত্রীকে। যে চিঠিতে তিনি চলতি আর্থিক বছরে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে কেন্দ্র রাজ্যকে কত টাকা দিয়েছে তার বিস্তারিত তথ্য পাঠান। সরকারি সেই চিঠিতে একেবারে শেষে তিনি লেখেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কেন্দ্রীয় সরকারকে ব্রেন ডেড সরকার বলেছিলেন, তারাই কীভাবে একশো দিনের প্রকল্পের টাকা দিয়ে রাজ্যের মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে।
বোধনের আগেই বাজল যুদ্ধের দামামা। জয়রাম রমেশের কটাক্ষের জবাব দিতে ফেসবুককে হাতিয়ার করে ফের রণং দেহী মুখ্যমন্ত্রী। উধাও উত্সবের ফিল গুড ফ্যাক্টর।
উনিশে অক্টোবর কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশ একটি চিঠি পাঠান মুখ্যমন্ত্রীকে। যে চিঠিতে তিনি চলতি আর্থিক বছরে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে কেন্দ্র রাজ্যকে কত টাকা দিয়েছে তার বিস্তারিত তথ্য পাঠান।
সরকারি সেই চিঠিতে একেবারে শেষে তিনি লেখেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কেন্দ্রীয় সরকারকে ব্রেন ডেড সরকার বলেছিলেন, তারাই কীভাবে একশো দিনের প্রকল্পের টাকা দিয়ে রাজ্যের মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে।
শনিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশের এই বক্তব্যকে একহাত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফেসবুকে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই চিঠি কুরুচিকর। এভাবে সরকারি চিঠি লেখা অনৈতিক এবং অসাংবিধানিক। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, জয়রাম রমেশের এই চিঠিতে তিনি বিস্মিত। দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সামনে অত্যন্ত খারাপ নজির তৈরি করল এই চিঠি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জয়রাম-মমতা সংঘাতকে অন্য চোখে দেখছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, রাজ্যের গ্রামীণ এলাকাগুলিতে উন্নয়নের দাবিকে হাতিয়ার করেই পঞ্চায়েতে ভোট চাইবে রাজ্য সরকার। তাই এই চিঠির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গ্রামীণ বাংলার উন্নয়নে আসলে কেন্দ্রের দাবিকেই প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জয়রাম রমেশ বোঝাতে চেয়েছেন, কেন্দ্রের বদান্যতাতেই রাজ্যে উন্নয়নের রথ চালিয়েছে নতুন সরকার। আর তা আঁচ করতে পেরেই এতটা বিরক্ত মুখ্যমন্ত্রী।