নির্বিচারে গ্রেফতার মারুতি শ্রমিকরা, ছড়াচ্ছে বিক্ষোভ
মারুতি কারখানার এইচ আর ম্যানেজার হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে হরিয়ানা পুলিস অনেক নিরপরাধ শ্রমিককে গ্রেফতার করছে বলে অভিযোগ। হেনস্থা করা হচ্ছে অন্য কারখানার শ্রমিকদেরও। নিহত আধিকারিকের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে হরিয়ানা সরকার। জানিয়েছে, কোনওভাবেই অপরাধীদের রেয়াত করা হবে না।
মারুতি কারখানার এইচ আর ম্যানেজার হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে হরিয়ানা পুলিস অনেক নিরপরাধ শ্রমিককে গ্রেফতার করছে বলে অভিযোগ। হেনস্থা করা হচ্ছে অন্য কারখানার শ্রমিকদেরও। নিহত আধিকারিকের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে হরিয়ানা সরকার। জানিয়েছে, কোনওভাবেই অপরাধীদের রেয়াত করা হবে না। প্রশ্ন উঠছে, এইসব নিরপরাধ শ্রমিক, যাঁরা অনেকেই পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য, তাঁদের ভরসা জোগাবে কে?
মারুতির গোষ্ঠীর ৪০ শতাংশ গাড়ি তৈরি হয় হরিয়ানার মানেসরের কারখানায়। গত ১৮ জুলাই শ্রমিক বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট হিংসায় মানেসরের মারুতি কারখানায় আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় কারখানার জেনারেল ম্যানেজার(এইচআর) অবনীশ কুমার দেবের। আহত হন সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্তারা। এর পরই অনির্দিষ্টকালের জন্য লক আউট হয়ে যায় কারখানা। এর আগেও শ্রমিক বিক্ষোভে সংস্থার উচ্চপদস্থ আধিকারিকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বেশ কয়েকবার। ২১ জুলাই কারখানা পরিদর্শনে এসে সংস্থার সিইও তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর শিনজো নাকানিশি মানেসরে শ্রমিক-কর্তৃপক্ষ সংঘাতের ঘটনাকে মারুতি-সুজুকির ইতিহাসে `সবচেয়ে বড় কালো দাগ` বলে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, এই হিংসার ঘটনায় যে ভাবে সংস্থার নাম কলঙ্কিত হয়েছে, অতীতে তা কখনও ঘটেনি। ইতিমধ্যেই মারুতি আধিকারিকদের উপর হামলার অভিযোগে সংস্থার বেশ কয়েকজন শ্রমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিস।