বিক্ষোভে উত্তাল মণিপুর, মৃত ৩, জ্বালানো হল এক মন্ত্রী ও ২ বিধায়কের বাড়ি
প্রায় রণক্ষেত্রের রূপ নিল মণিপুরের চুরাচান্দপুর জেলা। সোমবার গভীররাতে একটি বিক্ষোভের সময় মারা গেলেন ৩জন। আহত ১৪। উন্মত্ত জনতা তিন বিধায়ক ও এক মন্ত্রীর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।
ওয়েব ডেস্ক: প্রায় রণক্ষেত্রের রূপ নিল মণিপুরের চুরাচান্দপুর জেলা। সোমবার গভীররাতে একটি বিক্ষোভের সময় মারা গেলেন ৩জন। আহত ১৪। উন্মত্ত জনতা তিন বিধায়ক ও এক মন্ত্রীর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।
শহরে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে। মণিপুরের ৬০ সদস্যের বিধানসভায় পাস হওয়া একটি বিলকে কেন্দ্র করেই এই বিক্ষোভের জন্ম। সে রাজ্যের বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠনের অভিযোগ এই বিল আদিবাসী বিরোধী।
বহু প্রথমসারির আদিবাসী সংগঠন মঙ্গলবার এই বিলের বিরোধীতা করে ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দিয়েছ।
মণিপুরের পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী পি তোনসিং ও দুই বিধায়ক এম ভাইপেই ও ভি রাতলের বাড়িতে গতকাল আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। মণিপুর বিধানসভায় সম্প্রতি তিনটি বিল পাস হয়েছে। তার মধ্যে আছে মণিপুর পিপলস বিল ২০১৫ ও মণিপুর ল্যান্ড রেভেনিউ অ্যান্ড রিফর্মস বিল ২০১৫।
কুকি ও নাগা আদিবাসী সংগঠনের অভিযোগ এই বিলগুল আর্টিকল ৩৭১ সি ও ১৯৪৭ সালের মণিপুর হিল পিপল অ্যাডমিনিস্ট্রেসন রেগুলেশন অ্যাক্ট বিরোধী। অ্যাক্টটি জমি ও সম্পদের উপর আদিবাসীদের অধিকার সুরক্ষিত করেছিল।
বেশ কয়েকদিন বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে ইনার লাইন পারমিটের দাবিতে বিক্ষোভ চলছিল মণিপুরে। জুলাই মাসের ৮ তারিখ পুলিসের হাতে এক ছাত্রের মৃত্যুর পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিবেশ।
একটি বিল অনুযায়ী ১৯৫১ সালের আগে মণিপুরে এসে যারা বসবাস করা শুরু করেছেন তাদেরই একমাত্র সেই রাজ্যের আদিবাসী হিসেবে গণ্য করা হবে। তাদেরই একমাত্র সম্পত্তির অধিকার থাকবে। ১৯৫১ সালের পর যারা সে রাজ্যে এসেছেন তাদের বহিরাগত হিসেবে গণ্য করা হবে। তাঁদের সম্পত্তির অধিকার থাকবে না। তাদেরকে রাজ্যও ছাড়তে হতে পারে।