বিজেপির সঙ্গে জোট ‘কাপভর্তি বিষ পান’ করার সমান, জোট ভাঙতেই বোধোদয় মেহবুবার
জোট ভাঙলেও বেশকিছু সাফল্য পেয়েছেন বলে দাবি করেন মেহবুবা। তাঁর দাবি, রাজ্যে ৩৭০ ধারার ওপরে আঁচড় কাটাতে পারেনি বিজেপি

নিজস্ব প্রতিবেদন: পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাওয়ার পর মোহভঙ্গ হল জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির। বিজেপির সঙ্গে পিডিপির জোটকে ‘এক কাপ বিষ পান করা’-র সঙ্গে তুলনা করলেন মেহবুবা।
মুখ্যমন্ত্রীর পদ যাওয়ার পর শনিবারই প্রথম জনসমক্ষে এলেন মেহবুবা। এদিন তিনি বলেন, বিজেপি সঙ্গে জোট গড়ার ক্ষত্রে কিছু বাধ্যবাধকতা ছিল। বাবাকে বিজেপির সঙ্গে জোট নিয়ে সাবধান করেছিলাম। কিন্তু সে কথা তিনি মানতে চাননি। তাঁর কথা ছিল আগে রাজ্যের মানুষকে ভোগান্তি থেকে রক্ষা করা প্রয়োজন।
অারও পড়ুন-'প্রধানমন্ত্রী করতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে'
২০১৬ সালে রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন মেহবুবা। টানা ২ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁর পায়ের তলা থেকে মাটি কেড়ে নেয় বিজেপি। মুফতির দাবি ক্রমণ বিজিপির পেশীশক্তির রাজনীতি মাথাচাড়া দিচ্ছিল।
১৯৯৯ সালে পিডিপি তৈরি করেন মুফতি মহম্মদ সইদ। ২০১৪ সালের নির্বাচনের প্রচারে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রতি নরম মনোভাবই মেহবুবাকে বিপুল আসন দিয়েছিল। একইরকমভাবে জম্মুতে বিচ্ছিন্নতাবাদী বিরোধী প্রচার করে বিপুল আসন পেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু ২০১৬ তে তৈরি হওয়া পিডিপি-বিজেপি জোট টেকেনি। এর পেছনে হয়তো বিজেপির রাজনৈতিক কৌশল ছিল কিন্তু পিপিডিরও ক্রমশ দেওয়ালে পিঠ ঠকে যাচ্ছিল।
রাজ্যে আফস্পা জারি রাখা, পেলেট গানের ব্যবহার, সেনাবাহিনীর ধড়পাকড় নিয়ে ক্রমশ বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হচ্ছিল পিডিপির। বারবার দিল্লি গিয়েও তিনি বিজেপির কাছেও খুব একটা সুবিধে পাচ্ছিলেন না। আবার দলেরও চাপও তাঁর ওপরে বাড়ছিল।
শনিবার মেহবুবা বলেন, বিজেপির সঙ্গে জোট করে চলা তাঁর পক্ষে খুব একটা সহজ ছিল না। মিলিজুলি সরকার চালানো কাপ ভর্তি করে বিষ পান করার মতো ব্যাপার ছিল। মেহবুবার মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই তোপ দাগতে শুরু করেছে বিরোধীরা। রাজ্যে আইন শৃঙ্খলার অবনতির জন্য পিডিপিকেই দায়ি করছেন ওমর আবদুল্লা ও কংগ্রেস।
আরও পড়ুন-স্কুলের ছাদেই চলত কেয়ারটেকারের 'যৌন লীলা', একেক দিন একেক ছাত্র
জোট ভাঙলেও বেশকিছু সাফল্য পেয়েছেন বলে দাবি করেন মেহবুবা। তাঁর দাবি, রাজ্যে ৩৭০ ধারার ওপরে আঁচড় কাটাতে পারেনি বিজেপি। রমজানে সেনা তৎপরতা বন্ধ রাখা গিয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলাম, কাশ্মীরের রাস্তা সোনা দিয়ে বাঁধিয়ে দিলেও একটা মৃত্যুই সবকিছু নষ্ট করে দিতে পারে। সেটাই হচ্ছে এখন।