CAA নিয়ম প্রণয়নের জন্য সময় দরকার, আইন তৈরির দেড় বছর পর জানাল শাহের মন্ত্রক
২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (Citizenship Amendment Act) নিয়ে নির্দেশিকা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার।
![CAA নিয়ম প্রণয়নের জন্য সময় দরকার, আইন তৈরির দেড় বছর পর জানাল শাহের মন্ত্রক CAA নিয়ম প্রণয়নের জন্য সময় দরকার, আইন তৈরির দেড় বছর পর জানাল শাহের মন্ত্রক](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2021/07/27/335564-shah-3.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার সিএএ (CAA) লাগু হবে বলে বোলপুরে সাংবাদিক বৈঠকে বলেছিলেন অমিত শাহ (Amit Shah)। পরে ঠাকুরনগরে গিয়ে মতুয়াদের কাছে ব্যাখ্যা দিতে হয় তাঁকে। বছর দেড়েক আগে আইন তৈরি হলেও এখন সেই সংক্রান্ত নিয়ম তৈরি হয়নি। এজন্য আরও ৬ মাস দরকার বলে মঙ্গলবার সংসদে জানাল অমিত শাহের মন্ত্রক।
২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (Citizenship Amendment Act) নিয়ে নির্দেশিকা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তা ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে আইনে পরিণত হয়েছে। কিন্তু সিএএ সংক্রান্ত নিয়ম কবে প্রকাশ করবে সরকার, মঙ্গলবার সংসদে জানতে চান কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ (Gaurav Gogoi)। তার জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই (Nityanand Rai) জানান,'সিএএ-র নিয়ম তৈরির জন্য লোকসভা ও রাজ্যসভার কমিটির কাছে আরও সময় চাওয়া হয়েছে। সময় নেওয়া হয়েছে ২০২২ সালের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।'
পড়শি পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পারসি এবং খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য আইনে সংশোধন করে কেন্দ্রীয় সরকার। ওই আইনে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতে আসা অমুসলিম সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা রয়েছে। তাদের অনুপ্রবেশকারী হিসেবে ভাবা হবে না। এজন্য অভিভাবকদের জন্মের শংসাপত্র লাগবে না। ভারতে ৬ বছর থাকার পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যাবে। ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। ওই আইনের বিরোধিতায় সরব হয় বিরোধীরা। দেশজুড়ে চলে আন্দোলন।
আরও পড়ুন- আর ক'দিন পর শুরু হচ্ছে শিশুদের টিকাকরণ, প্রধানমন্ত্রীকে জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী