লোকসভায় জেনারেল সংরক্ষণ বিল পেশ মোদী সরকারের

সোমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে জেনারেল ক্যাটাগরিতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের বিষয় সিলমোহর দেওয়া হয়। কিন্তু এই সংরক্ষণ বলবত্ করার জন্য প্রয়োজন সংবিধান সংশোধনের। বদলাতে হবে সংবিধানের ১৫ ও ১৬ নম্বর অনুচ্ছেদ।

Updated By: Jan 8, 2019, 04:14 PM IST
লোকসভায় জেনারেল সংরক্ষণ বিল পেশ মোদী সরকারের
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: জেনারেল ক্যাটাগরিতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের জন্য তৈরি বিল পেশ হল লোকসভায়। মঙ্গলবার সংসদের নিম্নকক্ষে বিলটি পেশ করেন কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রী থাওয়ার চাঁদ গেহলট।

আরও পড়ুন: জেনারেলদের সংরক্ষণ ইস্যুতে মোদী সরকারের পাশে মায়াবতী

সোমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে জেনারেল ক্যাটাগরিতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের বিষয় সিলমোহর দেওয়া হয়। কিন্তু এই সংরক্ষণ বলবত্ করার জন্য প্রয়োজন সংবিধান সংশোধনের। বদলাতে হবে সংবিধানের ১৫ ও ১৬ নম্বর অনুচ্ছেদ।

সেই সংশোধন সেরেই মঙ্গলবার লোকসভায় বিলটি পেশ করে কেন্দ্রীয় সরকার। তারা আজই লোকসভায় বিলটি পাস করিয়ে নিতে তত্পর। মাস দুয়েক পরই লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই এই সংরক্ষণ বলবত্ করতে চায় কেন্দ্র।

সেই কারণে শীতকালীন অধিবেশনেই এই বিল পাসে তত্পর হয়েছে মোদী সরকার। তাদের লক্ষ্য মঙ্গলবার লোকসভায় বিলটি পাস করিয়ে বুধবার রাজ্যসভায় বিলটি পেশ করা। সেই কারণে রাজ্যসভার শীতকালীন অধিবেশনের মেয়াদ বুধবার পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: ভোটের মুখে উচ্চবর্ণের সংরক্ষণ! লাভবান হবেন কারা?

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এই সংরক্ষণ লাগু হয়ে গেলে যাঁরা জেনারেল ক্যাটাগরিভুক্ত, তাঁরা লাভবান হবেন। সেই তালিকায় যেমন উচ্চবর্ণীয় হিন্দুরা থাকবেন, তেমনই অন্যধর্মের মানুষ থাকবেন। ফলে এই বিল লোকসভা ভোটের আগে পাস করাতে পারলে বিজেপির রাজনৈতিক লাভ হবে।

কিন্তু এই বিল পাস করাতে গেলে রাজ্যসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন মোদী সরকারের। যা তাদের কাছে নেই। তার উপর বহুজন সমাজ পার্টির মায়াবতী ছাড়া আর কেউ এই বিলকে সমর্থন জানাচ্ছে না। কংগ্রেস তো এই বিলকে নির্বাচনী চমক বলে জানিয়ে দিয়েছে। সংরক্ষণের ইচ্ছা থাকলে তা আগেই বিজেপি সরকার করত বলে কংগ্রেসের দাবি।

আরও পড়ুন: উচ্চশ্রেণির জন্য সংরক্ষণে সিলমোহর মোদীর মন্ত্রিসভার

রাজনৈতিক মহলের মত, এই বিল পাসে বিরোধিতা করলে ভোটারদের একটা বড় অংশের আস্থা হারাতে বিরোধীরা। ফলে রাজ্যসভায় তারা এই বিল আটকাবে কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তাই দেখার শেষপর্যন্ত এই বিল নিয়ে সংসদে কী ভূমিকা নেয় বিরোধীরা, সেটাই দেখার।

.