রাষ্ট্রপতির ভাষণ বিতর্কে রাজ্যসভায় হোঁচট খেলেন মোদী
রাজ্যসভায় জোর ধাক্কা খেল মোদী সরকার। রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ সূচক প্রস্তাবে জিতে গেল বিরোধীদের সংশোধনী। সিপিআইএমের আনা সংশোধনীর পক্ষে অন্যান্য দলের সঙ্গে ভোট দিল তৃণমূলও।
মঙ্গলবার রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর বিতর্কে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাম-সহ অন্যান্য বিরোধী দলের সাংসদরা রাষ্ট্রপতির ভাষণের নানা বিষয়ে তাঁর কাছে ব্যাখ্যা চান। মোদীর উত্তরে সন্তুষ্ট হননি বিরোধীরা। চালিয়ে খেলার মুডে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীও। বামেদের আক্রমণ করতে ছাড়েননি তিনি। এরপরই, রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ জ্ঞাপন প্রস্তাবে সংশোধনী চেয়ে বসেন সিপিআইএম সাংসদ সীতারাম
ইয়েচুরি। উচ্চস্তরে দুর্নীতি দমন ও কালো টাকা ফিরিয়ে আনতে সরকারের ব্যর্থতার কথা রাষ্ট্রপতির ভাষণে না থাকায় প্রশ্ন তোলেন বাম নেতা। এ ব্যাপারে সংশোধনী আনতে চেয়ে ভোটাভুটির দাবি করেন ইয়েচুরি। রাজ্যসভায় বিরোধীরা দলে ভারি। ফলে, ইয়েচুরি ভোটাভুটি চাওয়ায় প্রমাদ গোনেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নাইডু। তিনি নিরস্ত করতে চাইলেও রাজি হননি ইয়েচুরি। তৃণমূল সহ সব বিরোধী দলই তাঁর প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেওয়ায় হেরে যায় সরকার। সিপিআইএমের আনা সংশোধনীর পক্ষে ভোট দেওয়া নিয়ে প্রথমে দ্বিধায় ছিলেন তৃণমূল সাংসদরা। ফোন যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এই ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এরপরই, ইয়েচুরির সংশোধনীর পক্ষে ভোট দেন তৃণমূল সাংসদরা।
এ দিন অন্যান্য দলের সঙ্গে আগে থেকে পরিকল্পনা করে সীতারাম ইয়েচুরি সংশোধনী আনেননি। মোদীর বক্তৃতার পর অনেকটা আচমকাই তিনি ভোটাভুটি চেয়ে বসেন। বিরোধীরা মুহূর্তে একজোট হয়ে যান। রাজ্যসভায় বিরোধী ঐক্যের এই ছবিটাই সরকারকে চিন্তায় রাখছে। দেশের সংসদীয় গণতন্ত্রের দীর্ঘ ইতিহাসে এর আগে মাত্র তিনবার রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ সূচক প্রস্তাবে বিরোধীদের আনা সংশোধনী জিতে গিয়েছিল।