কাশ্মীরে দুর্যোগের অবসান, নিয়ন্ত্রণে বন্যা পরিস্থিতি, দাবি রাজ্য সরকারের
কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণে বন্যা পরিস্থিতি। জম্মু-কাশ্মীর সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে এই মুহূর্তে উপত্যকা অঞ্চলে আর বন্যার সম্ভাবনা নেই। বিপদসীমার নীচে বইছে সমস্ত নদীর জল। সরকারের পক্ষ থেকে পর্যটকদের ভূস্বর্গে আরও বেশি করে আশার আবেদন করা হয়েছে। সরকারের দাবি এই বৃষ্টির পর কাশ্মীর উপত্যকা আরও সুন্দর, আরও সবুজ হয়ে উঠেছে।
শ্রীনগর: কাশ্মীরের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। বৃহস্পতিবার জম্মু-কাশ্মীর সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, এই মুহূর্তে উপত্যকায় বন্যার সম্ভাবনা নেই। বিপদসীমার নীচে বইছে সব নদীর জল। ভূস্বর্গে আরও বেশি করে আসার জন্য পর্যটকদের কাছে আবেদন করা হয়েছে জম্মু কাশ্মীর সরকারের তরফে। সরকারের দাবি, বৃষ্টির পর কাশ্মীর উপত্যকা আরও সুন্দর, আরও সবুজ হয়ে উঠেছে।
জম্মু-কাশ্মীরের শিক্ষামন্ত্রী নঈম আখতার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দুর্যোগের আবহাওয়া অতিক্রান্ত। তবে এখনও কিছু জায়গায় জল জমে আছে।
তিনি বলেন, ''এ বছর আসলে সেই রকম বন্যাই হয়নি। কিন্তু গত বছরের ভয়াবহ বন্যার পর সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। এই মুহূর্তে সব নদ-নদীর জল বিপদসীমার অনেক নীচে বইছে। সারা রাজ্য জুড়েই পরিস্থিতি একেবারেই স্বাভাবিক।''
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আজ রাতেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। তবে আগামিকাল থেকে আকাশ একেবারে পরিস্কার হয়ে যাবে।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আর আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। কিন্তু সতর্কতা বজায় রাখার জন্য প্রশাসন প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছে। মুফতি মহম্মদ সঈদ সরকারের দাবি, শ্রীনগর ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের মানুষ দেখেছেন পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার কী কী করেছে।
আখতার আরও বলেছেন ''দুর্ভাগ্যবশত এখনও অনেকে দুর্যোগের আশঙ্কা করছেন। অনেকের ধারণা মন্ত্রী ও আধিকারিকরা বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন না। কিন্তু, এখন সব ক্ষেত্রেই কাজকর্ম একেবারে স্বাভাবিক। কাল সকালে আমরা নতুন এক ভোরের প্রত্যাশা করছি।''
যে জায়গাগুলিতে জল জমে আছে সেখান থেকে দ্রুত জল সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে জম্মু-কাশ্মীর সরকার।
আগামিকাল থেকেই খুলে যাচ্ছে কাশ্মীর উপত্যকার অন্যতম আকর্ষণ টিউলিপ গার্ডেন। কোনও গাছে কুঁড়ি, আর কোনও গাছে সদ্য ফোটা রঙবেরঙের টিউলিপ। টিউলিপ গার্ডেনে প্রকৃতি তার সব রঙ নিয়ে হাজির। রাজ্য সরকারের দাবি, লাগাতার বৃষ্টি যেমন একদিকে কয়েকদিনের দুর্যোগ ডেকে এনেছে, তেমনই অন্যদিকে, মরসুমের প্রথম বৃষ্টিতে ভূস্বর্গের সজীবতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আতঙ্ক ভুলে সরকারের পক্ষ থেকে এই সময় দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে অপরূপ কাশ্মীরে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।