জেলেই গেলেন নূপুর তলোয়ার
অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে আত্মসমর্পণ করলেন নূপুর তলোয়ার। আর বিশেষ সিবিআই আদালত পত্রপাঠ জামিনের অবেদন নাকচ করে জেল হেফাজতে পাঠাল তাঁকে। এদিনই ১৪ বছরের আরুষি তলোয়ার হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত তাঁর মা নূপুরকে গাজিয়াবাদের দাসনা জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে আত্মসমর্পণ করলেন নূপুর তলোয়ার। আর বিশেষ সিবিআই আদালত পত্রপাঠ জামিনের অবেদন নাকচ করে জেল হেফাজতে পাঠাল তাঁকে। এদিনই ১৪ বছরের আরুষি তলোয়ার হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত তাঁর মা নূপুরকে গাজিয়াবাদের দাসনা জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আজকের রাত তাঁকে দাসনা জেলের ১৩ নম্বর সেলে কাটাতে হবে।
সোমবার বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ গাজিয়াবাদের বিশেষ সিবিআই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। এর পরে তাঁকে হেফাজতে নেয় আদালত। নূপুরের আইনজীবী আর কে সাইনি তাঁর মক্কেলের তরফে জামিনের আবেদন জানান। অন্যদিকে সিবিআই-এর তরফে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের আশঙ্কা প্রকাশ করে নূপুরের জামিনের আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করা হয়। তবে সিবিআই জেরার জন্য হেফাজতে নিতে না চাওয়ায় আরুষি হেমরাজের মা'কে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত।
আগেই তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল গাজিয়াবাদ আদালত। নিম্ন আদালতের সেই নির্দেশ স্থগিত রাখাতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন নূপুর তলোয়ার। কিন্তু গত শুক্রবার সেই আবেদন খারিজ করে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। এর পরই নূপুর তলোয়ারের জেল যাত্রা কার্যত নিশ্চিত হয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের মে মাসে নয়ডায় তলোয়ার দম্পতির ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল আরুষি ও পরিচারক হেমরাজের দেহ। সেই ঘটনায় অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত আরুষির মা নূপুর তলোয়ার। এর আগে একাধিকবার গাজিয়াবাদ আদালতের তরফে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হলেও তা অমান্য করেন নূপুর। প্রসঙ্গত, এর আগে আরুষি হত্যা মামলায় তাঁর বাবা রাজেশ তলোয়ারকেও জেলে যেতে হয়েছিল। রাজেশ বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। আগামী ৭ মে তাঁর জামিনের মেয়াদ শেষ হবে। সম্ভবত সিবিআই-এর তরফে রাজেশ তলোয়ারকেও জেলে পাঠানোর আবেদন জানান হবে আদালতে।