এনকাউন্টারে খতম ‘ছোটা নুর’, ৪ ফুটের এই জইশ জঙ্গিই হয়ে ওঠে সেনার মাথাব্যাথা
দক্ষিণ কাশ্মীরের ত্রালের বাসিন্দা নুরের তৈরি করা ছকেই গত অক্টোবরে শ্রীনগর বিমানবন্দরের কাছে বিএসএফের ক্যাম্পে হামলা চালায় জইশ জঙ্গিরা। গত সেপ্টেম্বরে ত্রালে এক মন্ত্রীর আবাসেও হামলার সঙ্গে জড়িত ছোটা নুর
নিজস্ব প্রতিবেদন: মাত্র ৪ ফুটের নুর মহম্মদ ওরফে ছোটা নুর-ই হয়ে উঠেছিল সেনার মাথাব্যাথা। জইশ-ই-মহম্মদ নেতা সেই ছোটা নুরকেই মঙ্গলবার পুলওয়ামায় এনকাউন্টারে খতম করেছে সেনা। গত ৬ মাস সেনাবাহিনীকে নাকানিচোবানি খাইয়েছে সে।
দক্ষিণ কাশ্মীরের ত্রালের বাসিন্দা নুরের তৈরি করা ছকেই গত অক্টোবরে শ্রীনগর বিমানবন্দরের কাছে বিএসএফের ক্যাম্পে হামলা চালায় জইশ জঙ্গিরা। গত সেপ্টেম্বরে ত্রালে এক মন্ত্রীর বাড়িতেও হামলায় জড়িত ছোটা নুর। জুলাই মাস থেকে জইশের দায়িত্ব নেওয়ার পর নিরাপত্তারক্ষীদের উপরে একের পর এক হামলা হয়েছে এই নুরের নেতৃত্বেই।
২০০১ সালে সংসদ ভবনে হামলার মূল কারিগর গাজি বাবার প্রধান সহযোগী ছিল নুর। ফলে সন্ত্রাসে তার হাতেখড়ি বহুদিন আগেই। ২০০৩ সালে তার সঙ্গে জঙ্গি যোগ প্রমাণিত হয়। তার কাছ থেকে ১৯.২ লাখ টাকা উদ্ধারও করা হয়। পোটা আইনে নুরের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ২০১১ সালে তার আজীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয় পোটা আদালত। ২০১৫ সালে সে প্যারোলে মুক্তি পায়। তার পর থেকে একের পর এক হামলার পরিকল্পনা করে আসছিল ছোটা নুর।
কাশ্মীরের আইজি মুনির খান ছোটা নুরের কথা বলতে গিয়ে বলেন, ‘গত কয়েক মাস ধরে নুর একের পর এক করে হামলা চালাচ্ছিল। বেশিরভাগ হামলাই হচ্ছিল হাইওয়ের ধারে।’
এদিকে, ইতিমধ্যেই এবছর জইশের ১৫ জঙ্গিকে নিকেশ করেছে সেনা। এর পর এই নুরের মুত্যু জঙ্গি গোষ্ঠীটির কোমর বেঁধে দিল বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, নুরের উচ্চতা নিয়ে ভিন্ন মত রয়েছে।
আরও পড়ুন-৪ জওয়ানের মৃত্যুর বদলা; নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাল্টা আঘাত ভারতের, খতম ৩ পাক সেনা