সোনিয়া সকাশে প্রণব, রাষ্ট্রপতি ভোটের প্রার্থী নিয়ে আজ বৈঠকে কংগ্রেস
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরে জটিলতা কাটাতে জোর তত্পরতা শুরু হয়েছে কংগ্রেস শিবিরে। বৃহস্পতিবার সকালেই দশ জনপথে গিয়ে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন প্রণব মুখার্জি। তাঁদের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা হয়। কিছুক্ষণ পর সেখানে পৌঁছন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনিও।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরে জটিলতা কাটাতে জোর তত্পরতা শুরু হয়েছে কংগ্রেস শিবিরে। বৃহস্পতিবার সকালেই দশ জনপথে গিয়ে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন প্রণব মুখার্জি। তাঁদের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা হয়। কিছুক্ষণ পর সেখানে পৌঁছন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনিও।
এদিন দুপুরেই বৈঠকে বসবে কংগ্রেস কোর কমিটি। সম্ভবত সেখানেই রাইসিনা হিলের পরবর্তী বাসিন্দার দৌড়ের দলীয় প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করা হবে। রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী স্থির করা নিয়ে সাম্প্রতিক চাপানউতোরের মাঝেই গতকাল রাতে প্রণব মুখার্জির সঙ্গে দেখা করতে যান প্রধানমন্ত্রীর দফতর বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী। তৃণমূল কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টি ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি পদে তাঁদের তিন পছন্দের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। এই পরিস্থিতিতে ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছতে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও কথাবার্তা শুরু করছে কংগ্রেস।
রাইসিনা হিলসের পরবর্তী বাসিন্দা কে হতে চলেছেন, এই নিয়ে রাজধানীর অলিন্দে জল্পনা তুঙ্গে। গতকাল সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকের পরই সমাজবাদী সুপ্রিমো মুলায়ম সিং যাদবের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন তৃণমূল নেত্রী। এরপর মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে সরাসরি কংগ্রেসের পছন্দের দুই প্রার্থী প্রণব মুখোপাধ্যায় ও হামিদ আনসারির নাম খারিজ করে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিবর্তে বিকল্প তিনজনের নাম প্রস্তাব করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী এবং মুলায়ম। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ পি জে আব্দুল কালাম, প্রাক্তন স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি এই তালিকায় রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংও!
কিন্তু কোনও নাম নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানায়নি কংগ্রেস শিবির। আর এতেই জল্পনা আরও বেড়েছে। মনমোহন সিংয়ের নাম নিয়ে কেন নীরব কংগ্রেস? তাহলে কি, প্রধানমন্ত্রী পদে আসলে বদলই চান কংগ্রেস হাইকমান্ড। প্রধানমন্ত্রী পদে বদল যদি মনপসন্দ না হয়, তাহলে মনমোহন সিংয়ের নাম সরাসরি কেন খারিজ করে দিলেন না কংগ্রেস হাইকমান্ড? কংগ্রেস শিবির আদতে কি প্রধানমন্ত্রীর সম্মানজনক পুনর্বাসনের চাইছে? কিন্তু কর্মরত এক জন প্রধানমন্ত্রীর নাম আলঙ্কারিক রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে সামনে আনা হলে পরোক্ষে তাঁর প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করা হয় বলে কৌশলে এগিয়ে দেওয়া হচ্ছে শরিকদের? গতকাল বিকেল থেকেই এমনই নানা প্রশ্ন ঘিরে জল্পনা বাড়ছে জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে।