খাদ্য সুরক্ষা বিলে সম্মতি রাষ্ট্রপতির
খাদ্য সুরক্ষা বিলে সম্মতি দিলেন রাষ্ট্রপতি। এই অর্ডিন্যান্স কার্যকর হলে দেশের তিন-চতুর্থাংশ নাগরিক এক থেকে তিন টাকা কেজি দরে মাসে পাঁচ কেজি খাদ্যশস্য পাবেন। দুদিন আগেই অর্ডিন্যান্সে সিলমোহর দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। তবে অর্ডিন্যান্স করে খাদ্য সুরক্ষা বিল চালুর তীব্র সমালোচনা করেছে বিরোধীরা।
খাদ্য সুরক্ষা বিলে সম্মতি দিলেন রাষ্ট্রপতি। এই অর্ডিন্যান্স কার্যকর হলে দেশের তিন-চতুর্থাংশ নাগরিক এক থেকে তিন টাকা কেজি দরে মাসে পাঁচ কেজি খাদ্যশস্য পাবেন। দুদিন আগেই অর্ডিন্যান্সে সিলমোহর দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। তবে অর্ডিন্যান্স করে খাদ্য সুরক্ষা বিল চালুর তীব্র সমালোচনা করেছে বিরোধীরা।
ইউপিএ টু সরকারকে একটানা মোকাবিলা করতে হয়েছে নানা সংকটের। মূল্যবৃদ্ধি, দুর্নীতি, মহিলাদের নিরাপত্তা, পেট্রোলের ওপর থেকে ভর্তুকি তুলে নেওয়া, সব মিলিয়ে একের পর এক ইস্যুতে তলানিতে কেন্দ্রীয় সরকারের ভাবমূর্তি। এই পরিস্থিতিতে আগামি লোকসভা নির্বাচনে ক্ষমতায় ফিরতে খাদ্য সুরক্ষাকেই ইস্যু করতে চায় কংগ্রেস। প্রথমবার ক্ষমতায় এসে দেশে একশ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করেছিল ইউপিএ সরকার।
সেই কর্মসূচির সুফল মিলেছিল দুহাজার নয় সালের লোকসভা নির্বাচনে। সেকারণেই এবার খাদ্য সুরক্ষা ইস্যুকে হাতিয়ার করতে চায় কংগ্রেস।
কয়েক সপ্তাহ বাদেই শুরু হবে সংসদের বর্যাকালীন অধিবেশন। ছমাসের মধ্যে সংসদের দুই কক্ষেই পাশ করাতে হবে এই অর্ডিন্যাস।
তবে সংসদে বিতর্ক এড়িয়ে অর্ডিন্যান্স করে খাদ্য সুরক্ষা বিল চালু করার বিষয়টির আগেই বিরোধিতা করেছে বিজেপি এবং বাম দলগুলি। বিজেপির মতে এই অর্ডিন্যান্স নির্বাচনী চমক ছাড়া কিছু নয়। বাম দলগুলির অভিযোগ, সংসদের ওপর আস্থা নেই শাসক দলের , তাই বিতর্ক এডাচ্ছে সরকার। অর্ডিন্যান্সের সমালোচনা করেছেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো মুলায়ম সিং যাদবও।
সন্দেহ নেই, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির এই অবস্থানের জেরে খাদ্য সুরক্ষা বিলের অর্ডিন্যান্স ইস্যুতে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে উঠতে চলেছে সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশন।