উত্তরপ্রদেশের উন্নয়নের জন্য কংগ্রেসকে ক্ষমতায় আনার আবেদন রাহুল গান্ধীর
মাস কয়েক আগে তাঁর এলাহাবাদের জনসভার সময় বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন সমাজবাদী পার্টির কর্মীরা। এবার মুলায়মের দলের পাশাপাশি বিক্ষোভের রাজনীতির পথ নিল বিজেপিও।
মাস কয়েক আগে তাঁর এলাহাবাদের জনসভার সময় বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন সমাজবাদী পার্টির কর্মীরা। এবার মুলায়মের দলের পাশাপাশি বিক্ষোভের রাজনীতির পথ নিল বিজেপিও। সোমবার এলাহাবাদের অনতিদূরে ফুলপুরে রাহুল গান্ধী আনুষ্ঠানিক ভাবে আগামী বছরের বিধানসভা ভোটের দলীয় প্রচারের সূচনা করেন। কিন্তু সভা শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগেই এলাহাবাদে কংগ্রেসের নতুন প্রজন্মের নেতার বিরুদ্ধে মুর্দাবাদ' আওয়াজ তোলে বিজেপির যুব সংগঠন অখিল ভারতীয় যুব মোর্চা। এই ঘটনার জেরে যুব কংগ্রেস এবং কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই-এর সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় যুব মোর্চার কর্মীদের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হস্তক্ষেপ করতে হয় পুলিসকে। অন্য দিকে সমাজবাদী পার্টির কর্মীরাও এদিন ফুলপুরের সভায় রাহুল গান্ধীকে কালো পতাকা দেখানোর চেষ্টা করেন।
একদা দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর নির্বাচনী কেন্দ্র ছিল ফুলপুর। আজ উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা ভোটের আনুষ্ঠানিক প্রচারের সূচনা করতে এসে রাহুল গান্ধী তাঁর প্রয়াত প্রপিতামহের বহুত্ববাদী রাজনৈতিক চেতনার কথাই তুলে ধরেন। সওয়াল করেন, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আপামর উত্তরপ্রদেশবাসীর উন্নয়নের প্রতি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের দায়বদ্ধতার কথা। রাহুলের ফুলপুরের সভার আগেই রবিবার দলিত ভোটব্যাঙ্ক অটুট রেখে ব্রাহ্মণদের মন জয়ে সচেষ্ট হয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী। ব্রাহ্মণ-সহ গরীব উচ্চবর্ণের মানুষের জন্য সরকারি চাকরি ও শিক্ষাক্ষেত্রে সংরক্ষণের দাবি তোলার পাশাপাশি তাঁদের হাতে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন বিএসপি সুপ্রিমো।
যদিও বহেনজির ভোটব্যাঙ্ক সমীকরণের নতুন চালের জবাবে সরাসরি কোনও মন্তব্য করেননি রাহুল। বরং গোবলয়ের হৃদয়পুরে কংগ্রেসের ভোটপ্রচারের সূচনা করতে গিয়ে জাতপাতের সমীকরণের ঊর্ধ্বে উঠে নিজেকে সর্বজনগ্রাহ্য নেতা হিসেবে তুলে ধরারই চেষ্টা করেছেন নেহরু-গান্ধী পরিবারের পঞ্চম প্রজন্মের রাজনীতিক। তবে ফুলপুরে কংগ্রেসের সভায় মায়াবতী সরকারের সাম্প্রতিক নানা কার্যকলাপকে তীব্র আক্রমণ করেন আমেঠির সাংসদ। এলাহাবাদ থেকে ৩০ কিমি দূরে ওই সভায় রাহুল পরিবর্তনের আওয়াজ তুলে বলেন, দেশ যখন এগোচ্ছে তখন ক্রমশ পিছোচ্ছে উত্তরপ্রদেশ। রাজ্যের উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রের পাঠানো কোটি কোটি টাকা উধাও হয়ে যাচ্ছে। ওই টাকায় ক্যালেন্ডার-পোস্টার-মূর্তি হচ্ছে। বিএসপির নেতৃত্বে লখনউতে মাফিয়াদের সরকার কায়েম হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। মুখ খোলেন, ভাট্টা পারসৌলে কৃষকদের জমি অধিগ্রহণ থেকে শুরু করে রাজ্যে ক্রমবর্ধমান বেকারত্বের মতো স্পর্শকাতর বিষয়গুলি নিয়েও।