আন্নার নৈতিক সমর্থন, রবার্ট বঢরাকে নিয়ে সুর চড়ালেন কেজরিওয়াল
শুক্রবার রাতে সোনিয়া-জামাতা, রবার্ট বঢরার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনার পর শনিবার ফের একই প্রশ্নে মুখ খুললেন নব নির্মিত ইন্ডিয়া এগেনস্ট করাপশন না আইএসি নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন তাঁর অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে মানহানির আইনি ব্যবস্থার জন্যও তিনি প্রস্তুত। এই ইস্যুতে কংগ্রেসের মৌনতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, "আমাদের সংগঠিত হয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সময় এসেছে। এছাড়া আমাদের দেশে অন্য কোনও উপায় নেই। জনগণকেই বিরোধীদের আসনে বসতে হবে।"
শুক্রবার রাতে সোনিয়া-জামাতা, রবার্ট বঢরার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনার পর শনিবার ফের একই প্রশ্নে মুখ খুললেন নব নির্মিত ইন্ডিয়া এগেনস্ট করাপশন না আইএসি নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন তাঁর অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে মানহানির আইনি ব্যবস্থার জন্যও তিনি প্রস্তুত। এই ইস্যুতে কংগ্রেসের মৌনতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, "আমাদের সংগঠিত হয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সময় এসেছে। এছাড়া আমাদের দেশে অন্য কোনও উপায় নেই। জনগণকেই বিরোধীদের আসনে বসতে হবে।"
অন্যদিকে, সরাসরি কেজরিওয়ালের দলে যোগ না দিলেও বাইরে থেকে তাঁর `নৈতিক` সমর্থন জানাতে কসুর করছেন না একসময়ের সহযোদ্ধা আন্না হাজারে। রবার্ট বঢরার বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে শনিবার আন্না একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে বলেন, "তদন্ত করেই প্রমাণিত হোক অরবিন্দ কেজরিওয়ালের অভিযোগ সত্যি নয়। সেক্ষেত্রে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।" তবে তার আগে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হওয়া জরুরি বলে দাবি করেন তিনি।
শুক্রবারই সদ্য নির্মিত রাজনৈতিক দল ইন্ডিয়া এগেনস্ট করাপশন বা আইএসির দুই নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং প্রশান্ত ভূষণ এক সাংবাদিক সম্মলনে রবার্ট বঢরার বিরুদ্ধে সরাসরি আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ এনে বলেন, গত চার বছরে বঢরা নামমাত্র টাকায় ডিএলএফ নামে একটি নির্মাণ সংস্থার কাছ থেকে বহু সম্পত্তি কিনেছেন, যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৩০০ কোটি টাকার কাছাকাছি। এ ছাড়া, ওই সংস্থাটি রবার্টকে কোনও নিরাপত্তা ছাড়াই ৬৫ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছিল। এই ধরনের লেনদেনকে অবৈধ বলে তার কারণ জানতে চেয়েছেন তাঁরা।
স্বাভাবিকভাবেই আরও একবার নিজেদের পিঠ বাঁচাতে মরিয়া কংগ্রেস এই ধরনের অভিযোগকে আমল দিতেই নারাজ। একে নিম্ন রুচির রাজনীতি বলে পাল্টা অভিযোগ করে বিজেপি এবং কেজরিওয়াল-প্রশান্ত ভূষণ গোষ্ঠীকে একই মুদ্রার দুই পিঠ বলে আক্রমণ শানিয়েছেন কংগ্রেস মুখপাত্র মণীশ তিওয়ারি।