Hate Speech: ভারত ধর্মনিরপেক্ষ দেশ! ঘৃণাভাষণে ক্রিমিনাল কেস শুরুর 'সুপ্রিম' নির্দেশ
'ধর্ম নিরপেক্ষ দেশে ঘৃণা-ভাষণের মতো ঘটনা অবিশ্বাস্য। তা আটকানোর দায়িত্ব আমাদেরই'। মামলার শুনানিতে একথা বললেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কে এম জোসেফ ও বিচারপতি হৃষিকেশ রায়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'ভারত ধর্মনিরপেক্ষ দেশ'। ঘৃণা ভাষণের বিরুদ্ধে তিন রাজ্য়কে এবার কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। কোন তিনটি রাজ্য? দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড। শীর্ষ আদালতের হুঁশিয়ারি, অভিযোগ দায়ের পর্যন্ত অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই। যাঁরা ঘৃণা ভাষণ ছড়াচ্ছে, তাঁদের বিরুদ্ধে দ্রুত ফৌজদারি আইনে মামলা দায়ের করতে হবে। যদি তা না করা হয়, তাহলে সেটি আদালত আবমাননার শামিল।
দেশজুড়ে ঘৃণা ভাষণ দেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। সঙ্গে অপরাধও। কেন্দ্র ও রাজ্য যথাযথ তদন্ত করছে না কেন? অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাইবা নেওয়া হচ্ছে না কেন? এই অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন শাহিন আবদুল্লা নামে এক ব্যক্তি। শীর্ষ আদালতের কাছে মামলাকারীর আর্জি জানান, ঘৃণা ভাষণে বিরুদ্ধে কেন্দ্র ও রাজ্যে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হোক। সেই মামলার প্রেক্ষিতে কড়া অবস্থান নিল সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন: হিমাচলে ভোটের বাদ্যি, দীপাবলীর আগে কেদারনাথ দর্শনে গেলেন মোদী
এদিন মামলাটির শুনানিতে ঘৃণা ভাষণকে 'অত্যন্ত গুরুতর অপরাধ' বলে ব্যাখ্যা করেছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কে এম জোসেফ এবং বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের মতে, 'ভারত ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। দেশের ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষার জন্য যাঁরা ঘৃণা ভাষণ ছড়াচ্ছে, তাজের জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে তাঁদের ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন'। এর আগে এই মামলায় কেন্দ্র ও রাজ্যের মতামতও জানতে চেয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত। বিচারপতিরা বলেন, ‘ধর্ম নিরপেক্ষ দেশে ঘৃণা-ভাষণের মতো ঘটনা অবিশ্বাস্য। তা আটকানোর দায়িত্ব আমাদেরই। আমরা যদি সেই দায়িত্ব পালন না করি, তা হলে কর্তব্যে গাফিলতি হবে'।’