মুখ্যমন্ত্রী সেনার, উপমুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেস-এনসিপির, পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণে আগামিকাল বৈঠক সনিয়া-শরদের
এনসিপি নেতা নবাব মালিক যদিও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী পদের লড়াই নিয়ে বিজেপি ছাড়ে শিবসেনা। সম্মানের খাতিরে ওই পদটি তাদের প্রাপ্য। তবে, সূত্রে খবর মুখ্যমন্ত্রীর মেয়াদ ভাগাভাগির পক্ষে দলের মধ্য সওয়াল করেন শরদ পাওয়ার
নিজস্ব প্রতিবেদন: মোটামুটি পাকা কংগ্রেস ও এনসিপি-র হাত ধরেই সরকার গড়ছে শিবসেনা। তৈরি হয়ে গেছে ন্যূনতম অভিন্ন কর্মসূচি-ও। আজ বিকেল ৩টে নাগাদ রাজ্যপাল ভগত্ সিং কোশিয়াড়ির সঙ্গে সাক্ষাত্ করবেন তিন দলের প্রতিনিধিরা। সরকার গড়ার প্রস্তাব দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু ক্ষমতা বণ্টনে পুরোপুরি ঐক্যমত হতে পারেনি কংগ্রেস, শিবসেনা এবং এনসিপি। রবিবার আরও একবার কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে আলোচনায় বসছেন শরদ পাওয়ার।
শুক্রবার কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে জানান, পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হবে। কংগ্রেস একা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। উদ্ভূত সমস্যা সমাধানে রবিবার বৈঠকে বসছেন সনিয়া এবং শরদ পাওয়ার। মহারাষ্ট্রে ত্রিদলীয় সরকার গড়া হচ্ছে বলে গতকালই স্পষ্ট করে দেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। আর সরকার হবে পাঁচ বছরের জন্যই। কিন্তু এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয় মুখ্যমন্ত্রী পদ ভাগাভাগি হবে কিনা!
এনসিপি নেতা নবাব মালিক যদিও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী পদের লড়াই নিয়ে বিজেপি ছাড়ে শিবসেনা। সম্মানের খাতিরে ওই পদটি তাদের প্রাপ্য। তবে, সূত্রে খবর মুখ্যমন্ত্রীর মেয়াদ ভাগাভাগির পক্ষে দলের মধ্য সওয়াল করেন শরদ পাওয়ার। গতকাল অভিন্ন নূন্যতম কর্মসূচি নিয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রী পদটি শিবসেনাকে দেওয়া হবে। দুটি উপমুখ্যমন্ত্রী পাচ্ছে যথাক্রমে কংগ্রেস ও এনসিপি। মুখ্যমন্ত্রী পদ ভাগাভাগি নিয়ে কোনও পক্ষই আলোচনায় যায়নি বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন- বামপন্থীদের কবেই বা জাতীয় পতাকার সম্মান নিয়ে চিন্তা ছিল! খোঁচা তথাগতর
উদ্ধব ঠাকরে না আদিত্য ঠাকরে, মুখ্যমন্ত্রী কে হবে তা নিয়ে মুখ খোলেনি শিবসেনা। তবে শিবসেনা থেকেই যে মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছে তা নিয়ে আর কোনও ধোঁয়াশা নেই। এর আগে বৃহস্পতিবার সেনা- এনসিপি-কংগ্রেস পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে অভিন্ন কর্মসূচির প্রাথমিক খসড়া প্রস্তুত করে ফেলেছে। সূত্রের খবর মহারাষ্ট্র বিধানসভায় মোট বিয়াল্লিশ জন মন্ত্রী হতে পারেন। শিবসেনার প্রস্তাব, ১৬ - ১৪ -১২ হিসাবে দফতর বণ্টন হোক। কংগ্রেসের প্রস্তাব ১৪ - ১৪ -১৪ হিসেবে সমবণ্টন হোক।