শেষ পর্যন্ত জয় বঙ্গব্রিগেডেরই, ফের সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক পদে ইয়েচুরি
২০১৫ সালের এপ্রিলে প্রথমবারের জন্য দলের দায়িত্ব নেন সীতারাম। সাধারণ সম্পাদক পদে থাকাকালীন একাধিক নির্বাচনে ব্যাপক পরাজয় হয় বামপন্থীদের।
নিজস্ব প্রতিবেদন : সীতারাম না কারাট, কার নীতিতে চলবে দল? দেশের একাধিক রাজ্যে নির্বাচনে দলের ভরাডুবির পর হায়দরাবাদ পার্টি কংগ্রেসে তা নিয়ে শুরু হয় জোর পর্যালোচনা। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দলের পরবর্তী রাজনৈতিক নীতি নির্ধারণে শেষ পর্যন্ত কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের সহমতি আদায় করে ছাড়ে ইয়েচুরি শিবির। তার পরই দলের সাধারণ সম্পাদকের পদে তাঁর পুনর্বহাল হওয়া একরকম সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করা হয়েছিল। রবিবার বেলা গড়াতে না-গড়াতে এল সেই খবর। এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক পদে বসলেন তিনি। একই সঙ্গে এবার কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেয়েছে বাংলার ৪ নতুন মুখ।
#CPIM22PartyCongress pic.twitter.com/FyzFPpPLIH
— CPI (M) (@cpimspeak) April 22, 2018
২০১৫ সালের এপ্রিলে প্রথমবারের জন্য দলের দায়িত্ব নেন সীতারাম। সাধারণ সম্পাদক পদে থাকাকালীন একাধিক নির্বাচনে ব্যাপক পরাজয় হয় বামপন্থীদের। পশ্চিমবঙ্গের পর হারাতে হয়েছে ত্রিপুরার রাজ্যপাট। তার পরেও সীতারামেই আস্থা সিপিএম নেতৃত্বের।
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় কমিটিতে বাংলা থেকে এল চার নতুন মুখ ঢুকলেও সম্মেলনের শেষদিনেও নাটক অব্যহত। এদিন মহম্মদ সেলিমকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি উঠল। বৃন্দা কারাটের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খোলায় দল থেকে তাঁকে বহিষ্কারের দাবি তোলেন অন্ধ্রের সিপিএম সদস্য জি মমতা। ওদিকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে বাংলা থেকে স্থান পেয়েছেন সুজন চক্রবর্তী, রবীন দেব, আভাস রায়চৌধুরী ও অমিয় পাত্র।
আরও পড়ুন- বাজিমাত বঙ্গ সিপিএমের, পার্টি কংগ্রেসে জোটের রাস্তা খুললেন ইয়েচুরি
চলতি বছরের জানুয়ারিতে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের পক্ষে সরব হন সীতারাম। যদিও তাঁর সেই প্রস্তাব খারিজ হয়ে যায়। গত বুধবার হায়দরাবাদ পার্টি কংগ্রেস শুরুর পর থেকেই শিরোনামে ছিল কারাট লবির সঙ্গে বঙ্গব্রিগেডের বিরোধের খবর।
সূত্রের খবর, বৈঠকে সীতারাম ইয়েচুরিকে খসড়া রাজনৈতিক প্রস্তাব পেশে বাধা দেয় কারাট শিবির। যদিও শেষ পর্যন্ত সংখ্যালঘু অংশের বক্তব্য সাধারণ সম্পাদক তুলে ধরেছেন বলে বিবৃতি দিয়ে সিপিএমের তরফে জানানো হয়।