BBC Office Raid: তথ্যচিত্র নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই দিল্লি ও মুম্বই অফিসে আয়কর হানা, মুখ খুলল বিবিসি
এনিয়ে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, আদানি নিয়ে আমরা যৌথ সংসদীয় তদন্তের দাবি করেছি। আর সরকার বিবিসির পেছনে পড়ে গিয়েছে। বিনাশকালে বুদ্ধিনাশ হয়
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গুজরাট হিংসা ও মোদীর ভূমিকা নিয়ে বিবিসির তৈরি তথ্যচিত্র নিয়ে ফের সরগরম দেশের রাজনীতি। মঙ্গলবার দিল্লি ও মুম্বইয়ে বিবিসির অফিসে হানা দেয় আয়কর দফতর। ওই হানা-কে আয়কর দফতর বলছে 'সার্ভে'। অফিসে ঢুকে সাংবাদিক ও অ্যাকাউন্ট দফতরের কর্মীদের ফোন ও ল্যাপটপ কেড়ে নেওয়া হয়। ঘটনার নিন্দা করেছে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ও এডিটর্স গিল্ড। এনিয়ে মুখ খুলল বিবিসি।
আরও পড়ুন-চাকরি দেওয়ার নামে ৫ লাখ টাকা গায়েব! তৃণমূল নেতাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে পোস্টার পড়ল গ্রামে
আয়কর দফতরের দাবি, গত কয়েক মাসে বিবিসির কাছে একাধিকবার তাদের লাভ সংক্রান্ত বেশকিছু তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছিল। আন্তর্জাতিক আয়করের যে নিয়ম রয়েছে ও ট্রান্সফার প্রাইসিংয়ের যে নিয়ম রয়েছে তা বারবার ভঙ্গ করছে বিবিসি। এনিয়ে তাদের বহুবার নোটিস দেওয়া হয়েছে। সেই তথ্য তারা দেয়নি। তার জেরেই আজ সকালে ৬০-৭০ আয়কর আধিকারিক দিল্লিতে বিবিসির দফতরে পৌঁছয়। পাশাপাশি মুম্বইয়েও একটি টিম বিবিসির দফতরে পৌঁছে যায়। অফিসে ঢুকে অ্যাকাউন্টে কাজ করার কর্মীদের জেরা করা হয়। তাদের কাগজপত্রও খতিয়ে দেখা হয়। আয়কর দফতরের দাবি, এটি কোনও রেড নয়। এটি একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। এনিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে।
The Income Tax Authorities are currently at the BBC offices in New Delhi and Mumbai and we are fully cooperating.
We hope to have this situation resolved as soon as possible.
— BBC News Press Team (@BBCNewsPR) February 14, 2023
বিবিসির মতো একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার অফিসের রেড করতে গেলে তাদের সদর দফতরে জানাতে হয়। আয়কর দফতরের দাবি এনিয়ে বিবিসির কেন্দ্রীয় অফিসে জানানো হয়েছে। তবে বিবিসির মুম্বই ও দিল্লি অফিসের দাবি তাদের এনিয়ে কিছু জানানো হয়নি। শেষপর্যন্ত এনিয়ে মুখ খুলল বিবিসি। সংস্থায় প্রেস টিমের তরফে বলা হয়েছে, এখন বিবিসির মুম্বই ও দিল্লির অফিসে এসেছে আয়কর আধিকারিকরা। আমরা পুরোপুরি সহযোগিতা করছি। আশা করছি খুব সহজেই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
এদিকে, ওই হানা নিয়ে মুখ খুলেছেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র গৌরভ ভাটিয়া। তিনি বলেন, যদি কোনও সংস্থা ভারতে কাজ করে তাহলে তাদের ভারতের আইন মানতে হবে। তাই আইন মেনে কাজ করলে সমস্যা কোথায়? বিবিসি হল অত্যন্ত দুর্নীতিগ্রস্থ সংস্থা। বিবিসি যা করে তা কংগ্রেসের সহ্গে মিলে যায়।
এদিকে, এনিয়ে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, আদানি নিয়ে আমরা যৌথ সংসদীয় তদন্তের দাবি করেছি। আর সরকার বিবিসির পেছনে পড়ে গিয়েছে। বিনাশকালে বুদ্ধিনাশ হয়।