জয়ললিতা সন্তানসম্ভবা হননি, হাইকোর্টে জানাল তামিলনাড়ু সরকার
নিজেকে জয়ললিতার কন্যা বলে দাবি করেছেন বেঙ্গালুরু নিবাসী আবেদনকারী জয়রাম।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আটের দশকে সন্তানসম্ভবা হননি জয়ললিতা। মাদ্রাজ হাইকোর্টে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর একটি ভিডিও ক্লিপ দিয়ে এমন দাবি করল তামিলনাড়ু সরকার। জয়ললিতার সন্তানের স্বীকৃতি দাবি করে সম্প্রতি মামলা করেছেন জনৈক জয়রাম। ওই মামলার শুনানিতে বিচারপতি এস বিদ্যানাথনের কাছে ভিডিও ক্লিপ পেশ করে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বিজয় নারায়ণ জানান, ওই মহিলার দাবি সর্বৈব মিথ্যা। কারণ, কখনও সন্তানসম্ভবাই হননি 'আম্মা'।
বেঙ্গালুরু নিবাসী আবেদনকারী জয়রামের দাবি, ১৯৮০ সালের ১৪ অগস্ট তাঁর জন্ম দিয়েছেন জয়ললিতা। এরপর তাঁকে বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা শৈলজাকে (জয়ললিতার বোন) দত্তক দেন তিনি। নিজের দাবির স্বপক্ষে প্রমাণ দিতে ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতিও চেয়েছেন জয়রাম। তাঁর আরও দাবি, জয়ললিতার বাবার মৃত্যুর পর তাঁর বোন শৈলজার জন্ম হয়েছিল। সে জন্য শৈলজাকে মেনে নেয়নি পরিবার।
জয়রামের দাবি উড়িয়ে দিয়েছে তামিলনাড়ুর পালানিস্বামী সরকার। ১৯৮০ সালের ২৭তম ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও ক্লিপ আদালতে পেশ করেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বিজয় নারায়ণ। তাঁর যুক্তি, ১৯৮০ সালে ১৪ অগাস্ট জয়ললিতার মেয়ের জন্ম হলে তার একমাসের আগের ভিডিওতে শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যেত। কিন্তু জয়ললিতার শরীরের তেমন কোনও পরিবর্তনই চোখে পড়ছে না ওই ভিডিও-তে।
২০১৬ সালে ডিসেম্বরে মৃত্যু হয় তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার। তাঁর প্রয়াণের কয়েক মাস পর আদালতের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। তাঁর বক্তব্য, আম্মার মৃত্যুর পর গোটা ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন পালিত বাবা। আদালতে মহিলার আবেদন, জয়ললিতার অস্থিভষ্ম তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হোক। আইয়াঙ্গার সম্প্রদায়ের রীতি মেনে তিনি 'মায়ের' শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে চান।
অ্যাডভোকেট জেনারেলের বক্তব্য, নিজের কল্পনায় গল্প সাজিয়ে প্রয়াত রাজনৈতিক নেত্রীকে অসম্মান করছেন আবেদনকারী। নিজের দাবির পক্ষে কোনও প্রমাণই পেশ করতে পারেননি তিনি। জয়ললিতার বোন হিসেবে নিজেকে দাবি করায় শৈলজার বিরুদ্ধেও ২০১৪ সালে মানহানির মামলাও করেছিলেন জয়ললিতা।
আবেদনকারী অবশ্য দমতে নারাজ। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন বেঙ্গালুরতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন 'আম্মা'। যদিও কোনও ছবি বা প্রমাণ দিতে পারেননি আবেদনকারী। মামলার পরবর্তী শুনানি এক সপ্তাহ পিছিয়ে দিয়েছেন মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি।
আরও পড়ুন- মরাঠি বিক্ষোভের আশঙ্কায় মন্দিরে 'মহাপুজো' এড়ালেন ফড়ণবীস